বিতর্কিত ও আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ভাতিজা ওমর মোহাম্মদ ভাইকে আসামী করে দুটি মামলা দায়ের করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা (নম্বর ৩৪ ও ৩৫) দুটি করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্টো (উত্তর) অঞ্চলের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. খোরশিদ আলম চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রোববার গুলশান-২ এ আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে একটি মিনি বার, একটি বিদেশী মদের গোডাউন, বিপুল পরিমানে মদ, সিসা মাদক, গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ওই বাসার দুইজন কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গুলশান জোনের পরিদর্শক এস এম শামসুল কবির বাদি হয়ে একটি মামলা এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বাদি হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। দুই মামালাতে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ভাতিজা ওমর মোহাম্মদ ভাই ও ওই বাড়ির দুই কেয়ারকেটাক নবীন ও পারভেজ আসামি করা হয়েছে এছাড়াও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
অধিদফতরে এই কর্মকর্তা বলেন, এদিকে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ে বাসার টপফ্লোরে থাকা মিনি বার থেকে ক্যাসিনো পরিচালনার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। সে বিষয়ে গুশলান থানায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। ক্যাসিনোর বিষয়টি তারা তদন্ত করবে।
রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গুলশান-২ এর ৫৭ নম্বর রোডের ১১/এ ও বি নম্বর আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এই অভিযানে ভবনের টপফ্লোরে একটি মিনি বারের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি, ৪ কেজি সিসা মাদক (দুই প্যাকেট) ও সেবনের সরঞ্জাম, ৩৮২ বোতল বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, ২শ’গ্রাম গাজা ও ২৪ ক্যান বিয়ার জব্দ কর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
এছাড়াও ওই ভবনের তৃতীয় তলায় আজিজের ছোট ভাই রাজা মোহাম্মদ ভাইয়ের বাসা থেকে ১১ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ভবনের দুইজন কেয়ারটেকার নবীন ও পারভেজকে আটক করে অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তবে আজিজের ভাতিজা ওমর মোহাম্মদ ভাই অভিযানের আগেই বাসা থেকে পালিয়ে যায়।