চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আজহারুল ও কায়সারের আপিল শুনানি ১৮ জুন

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা ও প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

তবে ওই দিন প্রথমে আজহারুল ইসলামের আপিলের শুনানি শুরু হবে। এবং এটা শেষ হওয়ার পর সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি শুরু হবে বলে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন আদালত।

বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।

আজ আদালতে আজহারুল ও মোহাম্মদ কায়সারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বুধবারের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এ টি এম আজহারের আপিলটি এক নম্বরে আর সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিলটি দুই নম্বর ক্রমিকে আসে।

আজহারুল ইসলাম
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরধ ট্রাইব্যুনাল-১ একাত্তরে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পাশাপাশি ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।

ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন এই জামায়াত নেতা। আপিলবিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেছিলেন আজহার।

সৈয়দ কায়সার
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সলের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন এই মুসলিম লীগ নেতা।

২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিল করেন সৈয়দ কায়সার। এরপর ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট এক আদেশে আপিল বিভাগ এ দুটি আপিলের সার সংক্ষেপ দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।