রোববার প্রিমিয়ার লিগের ট্রফি আঁকড়ে নাচতে দেখলে বোঝা যায়, কত আপন করে ফেলেছেন ট্রফিটাকে। ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরাও খুশি এ রকম একজন স্কোরারকে পেয়ে। ম্যানুয়েল পেলেগিন্নি, রবের্তো মানচিনি, পেপ গার্দিওলা– কোচ হয়ে এসেছেন, গেছেন। সার্জিও আগুয়েরোর স্কোরিং দক্ষতায় কোনও বদল নেই।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গার্দিওলার আমলে প্রতি ৯৯.৮ মিনিটে একটা করে গোল করেছেন আর্জেন্টাই ফরোয়ার্ড। যে রেট আগের দুই কোচের সময়ের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।
এখনই থেমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। রোববার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কিছু পর ব্রাইটনের মাঠে দাঁড়িয়ে আগুয়েরো জানান তার পরবর্তী লক্ষ্যের কথা। বলেছেন, ‘এ বারের মতো পরের মৌসুমেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। এবার একটা অফসাইডের জন্য আমাদের ছিটকে যেতে হয়েছিল। পরেরবার আমরা শেষ পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করব।’
ব্যক্তিগত লক্ষ্যর কথাও জানিয়েছেন। আগুয়েরোর কথায়, ‘দিনের শেষে একটা ব্যালন ডি’অর জেতার জন্য আর যাই হোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা দরকার।’
সাত বছরে চারটা প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি, চারটা লিগ কাপ। এ বছর একটা এফএ কাপ ট্রফি অপেক্ষায়। স্কোরিং রেট থিয়েরি অঁরির থেকেও এগিয়ে। প্রিমিয়ার লিগে সর্বকালের টপস্কোরারদের তালিকায় চলে এসেছেন ছ’নম্বরে। নামের পাশে ১৬৪ গোল। আর ১২ গোল করলে টপকে যাবেন পাঁচে থাকা অঁরিকে (১৭৫)। এই লিগের ইতিহাসে যত বিদেশি খেলেছেন, গোলের সংখ্যায় সবাইকে টপকে যাবেন আগুয়েরো।
এত পরিসংখ্যান দেখে যদি মনে হয়, শুধু ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধে ভুরিভুরি গোল করেছেন আগুয়েরো, তা হলে ভুল হবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে ৪৩টি গোল করেছেন আগুয়েরো।