আগাম নির্বাচন করার মতো কোন দৈন্যদশায় সরকার পড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন: গণতান্ত্রিক ধারায় যেকোন সময় নির্বাচন হতে পারে। তবে সরকার এমন কোন দৈন্যদশায় পড়েনি যে, আগাম নির্বাচন দিতে হবে। আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। আমরা উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে চাই।
তিন দিনের কম্বোডিয়া সফর শেষে দেশে ফিরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না, কিংবা বিএনপি না আসতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী কোন পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমার মনে হয় না আগের ভুল তারা আবারও করবে। ছোটলোকিপনা যারা করে তাদের সঙ্গে কিসের আলোচনা? আপনারা কী চান? আমি আর কত অপমানিত হবো? আগের বার ফোন করে অনেক বাজে কথা শুনতে হয়েছে।
যখন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেল; দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সময় ঠিক করে বাসায় গেলাম। কিন্তু কী হলো? আমার মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে দেয়া হলো। আমার প্রশ্ন, আপনাদের মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে দেয়া হলে ক’জন আবার সেখানে যাবেন?
‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে কী আসবে না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। সাধাসাধির কিছু নেই। আমি এতটুকু বলতে চাই বিএনপি এবার নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমরা না থাকলে বাংলাদেশে কী হয়েছে তা আপনারাও দেখেছেন। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশজুড়ে উন্নয়ন কাজ শুরু করলাম, কিন্তু ২০০১ এ এসে সেটা আবারও থেমে গেলো। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতার কোন বিকল্প নেই।
সম্প্রতি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমি শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন: তিনি কী কারণে ক্ষমা করলেন? তার কাছে কে ক্ষমা চেয়েছে, আর কেনইবা তার কাছে ক্ষমা চাইবো? জাতির কাছে তার (খালেদার) ক্ষমা চাওয়া উচিত।
তিনি বলেন: কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশ উভয়েই গণহত্যার স্বীকার হয়েছে। আবার ঘুরেও দাঁড়িয়েছে। দু’দেশই এখন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এছাড়া, আসিয়ানের সদস্য পদ প্রাপ্তি এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটি সর্থন পাওয়ার ক্ষেত্রে কম্বোডিয়াকে পাশে পাওয়ার আশাবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
৩ ডিসেম্বর কম্বোডিয়া সফরে যান শেখ হাসিনা। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে গত ৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক হবে বলে আশার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।