চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আগামী সপ্তাহে খুলছে ক্রিকেটের বন্ধ দুয়ার

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে অবশেষে। চার মাস পেরিয়ে খুলতে চলেছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের বদ্ধ দুয়ার। সামনের সপ্তাহ থেকে ব্যক্তিগত ফিটনেস অনুশীলনের জন্য হোম অব ক্রিকেটে আসতে পারবেন টাইগাররা। স্বাভাবিক চিত্র না ফিরলেও কিছুটা হলেও ভাঙবে স্টেডিয়ামটির নিস্তব্ধতা।

নির্বাচকদের বিবেচনায় থাকা পুলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। মিরপুরে ফিটনেস অনুশীলন করতে আগ্রহীদের তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।

ফিটনেস অনুশীলনের জন্য জিমনেসিয়াম ছাড়াও প্রয়োজনীয় সবকিছুই ব্যবহার করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। রানিং করা যাবে বিসিবির একাডেমি মাঠ ও শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।

করোনাভাইরাসের কারণে ১৬ মার্চের পর ক্রিকেট না হওয়ায় মাঠ দুটি পেয়েছে নতুন প্রাণশক্তি। বিসিবির মাঠকর্মীদের নিয়মিত পরিচর্যার ফলে ফিরে এসেছে গাড় সবুজ রূপ।

করোনাকালে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের রোডম্যাপ তৈরির দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের উপর। প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, সোমবার তারা সরেজমিনে দেখেছেন ক্রিকেটারদের অনুশীলন ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি। স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।

দেবাশীষ জানালেন, ‘ফিটনেসের কাজ করার জন্য যেসব প্রস্তুত রাখা দরকার, সেটি আমরা করছি। আজ আমরা সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারছি না, কেননা দুই-একদিন ওদিক সেদিক হতে পারে।’

‘অনুশীলনে আগ্রহীদের সংখ্যা পেলে আমরা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে পারবো, একদিনে কয়জন কাজ করবে সেটি নির্ভর করছে প্রকৃত সংখ্যার উপর। কাজটা হবে শুধুমাত্র ফিটনেস নিয়ে। এজন্য যা যা প্রয়োজন সব ব্যবহার করতে পারবেন খেলোয়াড়রা।’

সব ক্রিকেটারই যে অনুশীলনে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে ব্যাপারটা এমনও নয়। অনেকে ঘরে বসে ফিটনেসের কাজ করতে পারছেন। বিসিবি থেকে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে সরবরাহ করা হয়েছে ফিটনেস সরঞ্জাম। যে কারণে মিরপুরে ফিটনেসের কাজটি হবে মূলত সীমিত পরিসরে।

ব্যক্তিগত চাওয়ায় মিরপুরে ফিটনেস অনুশীলন আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হলেও স্কিল নিয়ে কাজের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা সময়। যদিও কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে ব্যাটিং-বোলিং শুরু করে দিয়েছেন। তবে সরকারি পর্যায় থেকে গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়া পর্যন্ত বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে ডাকবে না, সেটি পরিষ্কার।

এ নিয়ে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের এখনো ঘরে বসেই ফিটনেসের কাজ করতে বলছি। মাঠে নামতে অনুৎসাহিত করছি। করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে আর সরকারের অনুমোদন পেলে ক্রিকেট ফিরবে।’

‘আমরাও চাইছি যতদ্রুত সম্ভব ক্রিকেট শুরু হোক। বাস্তবতা হল, সে পরিস্থিতি এখনো আসেনি। যদি কোনো খেলোয়াড় ব্যক্তিগত উদ্যোগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে চায়, তাহলে করতে পারবে। সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।’