তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, অাগামী সংসদ অধিবেশনেই প্রস্তাবিত সম্প্রচার নীতিমালা উত্থাপিত হবে। দীর্ঘ দুই বছর কাজের পর এখন নীতিমালাটি মন্ত্রীসভায় তোলা হবে। নীতিমালাটি পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি পর্বে রয়েছে। যা পার্লামেন্টে পাসের পর আইনে পরিণত হবে। আমরা আশা করছি আগামী অধিবেশনে সম্প্রচার আইন পার্লামেন্টে দিতে পারবো।
রোবাবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।
তিনি বলেছেন: আশা করছি আগামী অধিবেশনেই সম্প্রচার আইন পাশ হবে। সেই সঙ্গে একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। সম্প্রচার কমিশন প্রসারমাণ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও গণতন্ত্রের উত্তরণে ভূমিকা রাখবে। সম্প্রচার কমিশন ছাড়পত্র দেবে আবার বাতিলের এখতিয়ার রাখবে। এটি একটি আধা-বিচারিক সংস্থা হবে। তথ্য কমিশন গঠনের পর এ বিষয়টি তথ্যমন্ত্রণালয় আর সরাসরি দেখবে না।
সরকার সাইবার অপরাধ দমন আইন করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেছেন: সাইবার অপরাধ দমন আইন যুগের চাহিদা এটা করবোই। গণমাধ্যম এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরো বাংলাদেশকে একটা কাচের ঘরে পরিণত করছে। সব কিছু দেখা যায়। এই কাচের ঘরে রাষ্ট্র যেমন থাকবে তেমনই অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি জীবনের গোপনীয়তা থাকবে। সরকার এগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন: দুই বছর পর নির্বাচন। অংশগ্রহণমূলক পরামর্শের ভিত্তিতে, ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।। এরই মধ্যে, নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিএনপি এবং তার কতিপয় শরিক দল আপত্তি উত্থাপন করেছে। যদিও তারা, এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণে মত দিয়েছে। তারা এখন নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের হুমকি গণতন্ত্রকে জিম্মি করার হুমকি। এটা করতে দেওয়া হবে না।
বিএনপি আগুন সন্ত্রাসে লিপ্ত অভিযোগ করে ইনু বলেন: বিএনপি দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। সবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বেশ কিছু মামলায়ও জড়িয়ে গেছেন। এ মামলার গুলোর আদালতে বিচার চলছে এবং সেগুলো শেষ পর্যায়ে। এতো সমালোচনার পরও তারা জোট থেকে জামায়াতকে বাদ দেয়নি। রাজনৈতিক বন্ধুত্ব অব্যাহত রয়েছে।
বিএনপির সহায়ক সরকারের প্রস্তাব কার্যত নির্বাচন ভন্ডুল করার ক্ষেত্র তৈরির চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না। খালেদা জিয়া ও বিএনপি মামলা থেকে রেহাই পেতে সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষির ক্ষেত্র তৈরি করতে এসব প্রস্তাবের কথা বলছে বলে মনে করেন হাসানুল হক ইনু।
ওয়েজ বোর্ড সংক্রান্ত প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেছেন,‘পরবর্তী যে ওয়েজ বোর্ড করা হবে সেখানে অবশ্যই ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদিকদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। এর অন্যথা হবে না।’
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের কালোধারা রোধ, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন।