লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেইজ ডাবল লাইন রেলপথ
নির্মাণের কাজ বেশ জোরেশোরে চলছে। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ
কাজ শেষ হলে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মধ্যে ট্রেনপথের সময় কমবে প্রায় দু’
ঘণ্টা। পণ্য পরিবহনেও গতি আসবে।
ঢাকা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম পর্যন্ত এখন প্রতিদিন ৭টি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। মালবাহী ট্রেনগুলো এসব ট্রেনকে সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন স্টেশন এবং জংশনে বসে থাকে দিনের পর দিন। এমন বাস্তবতায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় সরকার।
৩২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেলপথের লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত মাত্র ৭২ কিলোমিটার বাদে বাকি অংশ ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ শেষ। এলাকাবাসীর আশা, রেলপথটি উদ্বোধন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাত্রাপথে সময় অনেক কমে আসবে। এখন যেখানে ৫ ঘণ্টার মতো সময় লাগে, সেখানে দু’ঘণ্টা কম লাগবে বলে আশা করছেন যাত্রীরা।
২০১৮ সালের মধ্যে কাজ শেষ করে যাতায়াত এবং ব্যবসা বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত করতে চায় রেল মন্ত্রণালয়।
রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, রেললাইনটি নির্মাণ শেষ হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সব রেলপথ ডাবল লাইন হয়ে যাবে। তখন পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে অনেক কম সময় লাগবে। জনগণ কম খরচে কম সময়ে যাতায়াত ও মাল পরিবহন করতে পারবেন।
সরকার এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক- এডিবি এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক- ইআইবির অর্থায়ন সঠিকভাবে পাওয়া গেলে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করতে চায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমাদের যে যন্ত্রপাতি, প্রকৌশলী ও লোকবল আছে তাতে আমরা প্রকল্পটি চার বছরের আগেই আন্তর্জাতিক মানসম্মতভাবে শেষ করতে আগ্রহী। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, এ ধরণের প্রকল্প ভবিষ্যতে পরিচালনার জন্য বিদেশি কোনো কোম্পানির দরকার নেই। এখানে দেশীয় কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার যোগ্যতা এ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর আছে বলে মনে করেন ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান।
লুপ লাইনসহ প্রায় ১৮৪ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে থাকবে ১২টি ছোটবড় সেতু এবং ৪৭টি বক্স কালভার্ট। প্রকল্পের আওতায় ১১টি দ্বিতীয় শ্রেণির নতুন স্টেশনর পাশাপাশি ১১টি পুরাতন স্টেশনও মেরামত করে আধুনিকায়ন করা হবে।