চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আক্ষেপে পুড়ছেন আর্চার

বোলিং, ব্যাটিং বা ফিল্ডিং— অস্ট্রেলিয়ায় গেল অ্যাশেজে সব বিভাগে পিছিয়ে ছিল ইংলিশরা। দর্শক, সমর্থক হয়ে সতীর্থদের হতাশ করা সিরিজটি রুট-মালানরা শেষ করেন ৪-০ ব্যবধানে। যা মানতে পারছেন না চোটে পড়া জফরা আর্চার। আক্ষেপে পুড়ছেন ‘কিছু করতে না পারার’।

কনুইয়ের চোটে দশ মাসের বেশি বাইশ গজের বাইরে ইংল্যান্ডের গতিতারকা। এসময় সাদা পোশাকে ইংল্যান্ড পার করেছে রেকর্ড বাজে সময়। আর্চারহীন ইংলিশরা ১২ ম্যাচে জিততে পেরেছে মোটে একটি টেস্ট। অজিদের ডেরায় ইংলিশদের নাকানিচুবানিই বিশেষভাবে পোড়াচ্ছে আর্চারকে।

‘অ্যাশেজ সিরিজ দেখে মনে হয়েছে ইংলিশদের হতাশ করেছি। যখন দেখবেন পেসাররা ৯০ শতাংশ উইকেট ঝুলিতে পুরছে, তখন নিশ্চিতভাবেই চোটে থাকতে চাইবেন না।’ বলেন ২৬ বর্ষী ডানহাতি পেসার।

‘অবশ্যই, ইংলিশ দলকে সফলতা এনে দিতে চাই। কিন্তু গত বছরটি বুঝিয়েছে, তুমি যা চাও তার পরিকল্পনা করতে পারো। পরে এমন কিছু ঘটবে যা সব এলোমেলো করে দেবে।’

আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজদের বিপক্ষে সাদা পোশাকে ফেরার ক্ষণ গুনছেন আর্চার। শারীরিকভাবে নিজেকে ফিট মনে করছেন এবং অনুশীলন করছেন। যদিও ঠিক জানেন না কবে নাগাদ ফিরতে পারবেন বাইশ গজে।

‘এখন সবকিছু করতে পারি। কিন্তু কিছু একটার ঘাটতি আছে। আমার কোনো ধারণা নেই, কবে ম্যাচ খেলবে পারব! নিজেকে তৈরির চেষ্টা করছি এবং সবকিছু করছি যা যেকোনো সময় সহ্য করতে পারি।’

মাঠে ফিরতে কোনো তাড়াহুড়োও নেই আর্চারের। সময় নিয়ে পুরোপুরি ফিট হয়েই খেলতে চান। বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ পেসার বলেছেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষা করেছি, তাই শেষে তাড়াহুড়ো করার কোনো মানে হয় না। আমার হাতে পাঁচ মাস সময় আছে। যখনই প্রস্তুত হবো তখনই দলে ফিরব।’

ইংলিশদের হয়ে লাল বলের ক্রিকেটে ১৩ ম্যাচে ২৪ ইনিংসে ৪২ উইকেট আর্চারের। ডানহাতি পেসার লাল বলের ক্রিকেটেও দুর্দান্ত ভূমিকা রেখেছেন। একদিনের ১৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৩০ উইকেট। টি-টুয়েন্টিতে ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট ঝুলিতে।