বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিকাল ৩টা ৭ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
এসময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের আর ৭৮টি সাংগঠনিক ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একই মঞ্চে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের শুরু দিনে প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। এবারের সম্মেলনে সব মিলিয়ে ১৫ হাজার কাউন্সিলর ডেলিগেটসহ আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন।
এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’।
এরমধ্যে সম্মেলনের ঘোষণাপত্রও প্রস্তুত রয়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে নির্বিঘ্নে করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সম্মেলনস্থল, প্রবেশপথসহ চারপাশে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ছে ছয়টি নৌকা। উদ্যানের গাছে গাছে লাগানো হয়েছে মরিচবাতি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। মৎস্যভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। পাশাপাশি লাগানো হয়েছে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্রসংবলিত ফেস্টুন।
সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের প্রবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচটি গেট রয়েছে। একটি গেট ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে আওয়ামী লীগের আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।