আমন্ত্রণপত্র পেলেও আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যায়নি বিএনপি। তবে ১৪ দলের শরিকরা ছাড়াও শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলো জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা এবং সিপিবিসহ কয়েকটি দল। তারা আশা করছে, সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচনের পথ সৃষ্টি করবে আওয়ামী লীগ।
৬৭ বছরের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও মহাসচিবও আমন্ত্রিত ছিলেন। তারা কিংবা তাদের কোনো প্রতিনিধি না গেলেও আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আব্দুল মান্নান, জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ বিভিন্ন দলের নেতারা ।
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতের জন্য সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য কি এবং এই দলকে তিনি কি প্রক্রিয়ায় গঠন করতে চান, তা আমরা যারাই রাজনীতি করি, আমাদের সবার জন্য জানা প্রয়োজন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, আমরা মনে করি সম্মেলনে এমন নেতৃত্ব আসবে; যারা দুই বছর পরে যে নির্বাচন; তাতে যেন সবদলের অংশগ্রহণ থাকে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করে।
মন্ত্রিসভায় থাকা ১৪ দলের নেতারা বলেছেন, জঙ্গিদমন ও উন্নয়ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে পাশে থাকবেন তারা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জঙ্গি দমনের যুদ্ধের মধ্যে কাউন্সিলটা হচ্ছে। সেইখানে আমার মনোযোগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গি দমনের যুদ্ধটা সফল পরিণতির দিকে কিভাবে যাবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমরা আশা করি এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সেই প্রত্যয় ব্যক্ত হবে এবং সেই নেতৃত্বও বেরিয়ে আসবে।
বিএনপি সরকারের সময়ের যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা আশা করেন, আগামী নির্বাচনেও নেতৃত্ব থাকবে আওয়ামী লীগের হাতেই ।
নাজমুল হুদা বলেন, যেভাবে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলেছে এই অগ্রযাত্রা যদি অব্যাহত থাকে আমি সুনিশ্চিত আগামীতেও জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন। এবং বাংলাদেশকে সঠিক পথে যেভাবে তিনি পরিচালিত করছেন; সেভাবে তিনি পরিচালিত করা অব্যাহত রাখবেন।
১৪ দলীয় জোটে না থাকলেও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নেতারা মনে করেন, সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্যই অন্য দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী-যুদ্ধপরাধীদের সংগঠন বাদে সমস্ত সংগঠনগুলোর ভেতরেই এই ধরণের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। যতই তাদের ভিতর মতবিরোধ থাক না কেন।
দেশের বিভিন্ন দলের পাশাপাশি ১১টি দেশের পঞ্চাশ জনের বেশি রাজনীতিক আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।