তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রামীণফোন-প্রথমআলো আই-জেন-২০১৫’র চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল।
গালা আয়োজনের গ্র্যান্ড ফিনালে’তে অংশ নেয়া চার সেরা স্কুলের শিক্ষার্থীর ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও রিয়েলিটি শো’টি সরাসরি সম্প্রচার করেছে আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল আই।
নতুন প্রজন্মের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়ার প্রয়াসে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও রিয়েলিটি শো আই-জেন-২০১৫ এ এবারের সিজনে অংশ নেয় সারাদেশের দুই হাজারেরও বেশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
প্রায় ৯ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্র্যান্ড ফিনালেতে উঠে আসে চারটি স্কুল। বগুড়া ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলভার বেলস কিন্টারগার্ডেন এন্ড গার্লস হাই স্কুল, সেন্ট যোসেফ হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল এবং দর্শকদের ভোটে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছিলো গ্র্যান্ড ফিনালের গালা আয়োজন।
গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেইন বলেন, গ্রামীণফোন যে ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইড করছে তার মধ্যে ইন্টারনেট অন্যতম। গ্রামীণফোন ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ একটা লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজনে চ্যানেল আই ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, চ্যানেল আইয়ের কল্যাণে ছয়টি মহাদেশে আজ তোমাদের হাততালি শোনা যাচ্ছে। চ্যানেল আইয়ের বয়স ১৭। প্রথম আলো আর গ্রামীণ ফোনের বয়সও কাছাকাছি। আমরা যারা বয়সে কাছাকাছি তারা তোমাদের মতো তরুণদের সঙ্গে পথ চলতে চাই। কারণ তরুণদের সঙ্গে পথ চলা সব সময়ই আনন্দের। গ্রামীণফোন আর প্রথমআলোকে ধন্যবাদ চ্যানেল আইকে রাখার জন্য।
দৈনিক প্রথমআলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, প্রায় নয় লক্ষ ছাত্র ছাত্রী প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছে। কি উদ্দেশ্য লক্ষ্য গ্রামীণ ফোনের, প্রথমআলোর আর চ্যানেল আইয়ের। আমাদের তরুণ, ছাত্র এবং কিশোর ইন্টারনেটের যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হবে। সকল আধুনিক চিন্তা ভাবনা লেখাপড়ায় তারা যুক্ত হয়ে যাবে। এই পথ ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বর্তমান সময়ের এই যুগে আমাদের কাছে অন্য কোন রাস্তা নাই।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আগে স্কুলে কম্পিউটার পড়ানো হতো না। আমরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি, যখন বাধ্যতামূলক করেছি তখন কোন স্কুলে একটা ল্যাপটপ ছিল না, সবাই আমাকে বলছে পাগলামি। এখন দেখেন আমাদের ছেলেমেয়েরাই এখানে কম্পিটিশনে এসেছে।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতার পর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা। ফাইনালে লড়াই হয়েছে সমানে সমান। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই’র পর সময় আসে আই জেন চ্যাম্পিয়ন স্কুলের নাম ঘোষণার।
বেসরকারি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন এবং দৈনিক পত্রিকা প্রথমআলোর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রতিযোগিতার সহযোগি ছিলো বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এখানেই ডট কম, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, উড়ি ব্যাংক, আলপিনলেবে, মাইক্রোসফট, ওপেরা মিনি এবং মিডিয়া পার্টনার রেডিও ফুর্তি ও চ্যানেল আই।