আবুধাবিতে গত টি-টুয়েন্টি বিশ্ব আসরের সেমিফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাহসী বিবেচনা বোধের স্বীকৃতি পেলেন ড্যারেল মিচেল। ২০২১ সালের আইসিসির ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার।
সেরা চারের ওই ম্যাচে ইংলিশ বোলার আদিল রশিদের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলের ঘটনা, সহজেই একটি রান নেয়ার সুযোগ ছিল জিমি নিশাম ও ড্যারেল মিচেল জুটির। তখনো জয় থেকে ৩৪ রান দূরে কিউই দল। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে রান না নিয়ে সবাইকে অবাক করে দাঁড়িয়ে থাকেন মিচেল।
কেন রান নেননি? শট খেলেছিলেন নিশাম, বলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আদিল, একই সময়ে রানের জন্য দৌড়াতে চেষ্টা করেন মিচেল। আদিলের সঙ্গে তার শারীরিক বাধার পরিস্থিতি ঘটে যায়। বল আদিলের নাগালের বাইরে চলে যায়। মিচেল চাইলেই রান নিতে পারতেন।
অনিচ্ছাকৃত হলেও মিচেল তখন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন আদিলের দ্বারা। কিউই তারকা আর রানটা নেননি সুযোগ পেয়েও। ওরকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যখন একটা রান শতরানের সমান, তখন রানের দৌড় না দেয়ার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিল সাহসী পদক্ষেপই। একইসঙ্গে খেলার চেতনাকে সমুন্নত রাখার ব্যাপারও।
শেষ পর্যন্ত মিচেলের নৈপুণ্যে ম্যাচ জিতে নেয় কিউই দল। পরে সেই সাহসী পদক্ষেপের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে মিচেল। এবার মিলল আইসিসির স্বীকৃতি।
আগে কিউইদের তিন ক্রিকেটার পেয়েছেন আইসিসির স্পিরিট অব ক্রিকেট স্বীকৃতি। ড্যানিয়েল ভেট্টরি, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কেন উইলিয়ামসন। তারকাদের পাশে চতুর্থজন হতে পেরে আপ্লুত মিচেল।
‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সম্মানের। আরবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের অংশ হওয়াটা ছিল আমার জন্য আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা। বিশ্বকাপ শেষে এরকম পুরস্কার পাওয়াটা আনন্দের।
‘নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসাবে আমি গর্বিত। ক্রিকেট আমার কাছে সবসময় স্পিরিটের বলে মনে হয়। ম্যাচে জিততে চেয়েছি, বিতর্কিত হতে চাইনি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাপারটি ঘটে গেছে। ম্যাচ জেতায় আমি খুশি।’
ফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে আগে ব্যাট করে কিউইদের ১৬৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাবে পরিস্থিতি কঠিন হলেও শেষ ১২ বলে ৩৪ রান নিয়ে কিউইদের জয় এনে দেন মিচেল। ম্যাচসেরার দিনে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে ৭২ রানের জয়ী ইনিংস। ফাইনালে অজিদের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় কিউইদের।