গত বছর একদিনের ক্রিকেটে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য চার বর্ষসেরা ক্রিকেটার বেছে নিয়েছে আইসিসি। তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সাকিবের সঙ্গে বাকি তিন ক্রিকেটার হলেন- পাকিস্তান অধিনায়ক ও ওপেনার বাবর আজম, আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ও সাউথ আফ্রিকার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান জানেমান মালান।
নতুন বছরের ২৪ জানুয়ারি বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালার্ডিস, বিশ্বের বিশিষ্ট ক্রিকেট সাংবাদিক ও সম্প্রচারকদের সমন্বয়ে গঠিত অ্যাওয়ার্ড প্যানেল মনোনীতদের মধ্য থেকে একজনকে সেরা নির্বাচিত করবেন।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে ব্যাট-বলে স্বরূপে ফেরেন সাকিব। বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। ক্যারিবিয়ানদের ৩-০ ব্যবধানে হারানোর সিরিজে ব্যাট হাতে করেন ১১৩ রান, বোলিংয়ে নেন ৬ উইকেট।
বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলেন সাকিব। সিরিজে ব্যাট-বল উভয় ক্ষেত্রে ছিলেন খেই হারানো। তিন ম্যাচে ৩ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি করেছিলেন মাত্র ১৯ রান।
পরে জিম্বাবুয়ে সফরে স্বরূপে ফেরেন। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারতে বসা দলকে ৬৩ রানের ইনিংসে বাঁচিয়ে নেন। তিন ম্যাচের সিরিজে ব্যাট হাতে করেন ১৪৫ রান, শিকার ৮টি উইকেট।
মনোনয়ন পাওয়া পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম এবছর মাত্র দুটি সিরিজ খেলেছেন। সাউথ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি করে ৬ ম্যাচে নেমেছেন। ৬৭.৫০ গড়ে করেছেন ৪০৫ রান। আছে দুটি শতক ছাড়ানো ইনিংস।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার বাবর। ২২৮ করা সিরিজে দুম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হন। শেষ ওয়ানডেতে দেন ৮২ বলে ৯৪ রানের ক্যামিও।
ঘরের মাঠে ইংলিশদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার সিরিজেও পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন বাবরই। তিন ম্যাচে ১১৭ রান করেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫৮ রানের ইনিংস।
গতবছর অভিষিক্ত প্রোটিয়া ব্যাটার জানেমান মালান এবছর খেলেছেন ৮টি একদিনের ম্যাচ। দুর্দান্ত ফর্মে থেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন টপঅর্ডারে। হয়েছেন বছরে একদিনের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার। ৮৪.৮৩ গড়ে ৫০৯ রান করে জায়গা নিয়েছেন বর্ষসেরা ওয়ানডে তালিকায়।
আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ১৪ ম্যাচে ৭৯.৬৬ গড়ে করেছেন ৭০৫ রান। তিনটি শতক ও দুটি অর্ধশতকে গড়েন বছরের সর্বোচ্চ রান। জানুয়ারিতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুর্দান্ত শতকে শুরু করেন ২০২১ সাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে দুই শতকে করেন ২৮৫ রান।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজেও তার ফর্ম ধারাবাহিক ছিল। তার ব্যাটে ভর করে আইরিশরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে। সাউথ আফ্রিকা সফরে এক ফিফটি করার পর রান খরায় ভোগেন স্টার্লিং। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেন ১০৮ রান।