বেসরকারি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোর (আইসিডি) পরিবর্তে বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাসের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় আইসিডি থেকে পণ্য খালাসে সময় ও খরচ বেশি লাগে। তাই দ্রুত পণ্য খালাস করতে এবং অতিরিক্ত খরচ কমাতে এই অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহানের সাথে সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ আনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বের নানা দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামালবাহী কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ড থেকে খালাস করতে পোশাক মালিকদের সময় লাগতো দুই দিন। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি আইসিডিগুলো থেকে সেই কন্টেইনার খালাস করতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ দিন। পণ্য খালাসের বিলম্বের কারণে পোশাক উদ্যোক্তাদেরকে আর্থিক মাশুল দিতে হচ্ছে।
এছাড়া বেসরকারি আইসিডিতে প্রতি কন্টেইনারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ আদায় করা হচ্ছে, তা বন্দরের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। এতে সংশ্লিষ্ট পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্প যখন কোভিড-১৯ মাহামারির প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে লিপ্ত, তখন চট্রগ্রাম বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে এই অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ ও বাড়তি চার্জ আদায় শিল্পের স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করছে।
নিকট ভবিষ্যতে পোশাক রপ্তানি আরও বাড়বে- এমন আশা প্রকাশ করে ফারুক হাসান বলেন, এই বিষয়টিকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম কোভিড-১৯ মহামারিকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার প্রেক্ষিতে আর্ন্তজাতিক বাজারে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুত সম্পাদন করছে।
সভায় তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এজন্য বিজিএমইএ-সহ সব ষ্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক তানভীর আহমেদ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, রাজীব চৌধুরী, মো. ইমরানুর রহমান, এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, তানভির হাবিব, এ. এম. শফিউল করিম (খোকন) প্রমুখ।