করোনাভাইরাসে ভুগতে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। তিনি এখন ইনটেসিভ কেয়ার থেকে বেরিয়ে এসেছেন এবং বিশ্রামে আছেন।
ইনটেসিভ কেয়ার থেকে বের হয়ে তিনি প্রথমবার বিবৃতি দিয়েছেন। তাকে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদান করায় বিবৃতিতে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস স্টাফদের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাশ্যানাল হেলথ সার্ভিস চিকিৎসক, নার্সসহ সকল স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তাদের কাছে আমার জীবন ঋণী।
৫৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। পরে সেখানে টানা তিনদিন ইনটেসিভ কেয়ারে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিবিড় পরিচর্যার বাইরে আসার পর জনসন চিকিৎসকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আরো বলেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানালে শেষ হবে না। আমার জীবনের জন্য তাদের কাছে ঋণী।
শনিবার নিয়মিত করোনাভাইরাসের সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, পুর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আরো বিশ্রাম ও সময় প্রয়োজন।
বিবিসি বলছে, প্রধানমন্ত্রী ঠিক কখন হাসপাতাল ছেড়ে তার কাজে ফিরতে পারবেন, সে বিষয়টি এখনো সঠিক ধারণা করা যাচ্ছে না। তবে পররাষ্ট্রসচিব বলছেন, আশা করা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আগামী সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন এবং সেরে উঠবেন। ততোদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জনগণকে ইস্টার সানডের শুভেচ্ছা জানিয়ে, ঘরে বসে উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, দেশজুড়ে গির্জা বন্ধ থাকবে এবং প্রত্যেক পরিবার নিজ নিজ ঘরে বসে উৎসব করবেন।
‘মনে রাখবেন আপনারা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে সহযোগিতা করছেন এবং মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছেন’।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যে ৯০০ জনের মৃত্যু হয়। পরদিন শনিবারও ৯১৭ জন মারা যায় করোনাভাইরাসে।
দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৮৭৫ জন। রোববার যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।