ভয়াল ২৫ মে আজ। ৬ বছর আগে এই দিনে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকুলীয় জনপদ। এখনও নিরাপদ খাদ্য ও পানির অভাবে উপকূলবাসী।
খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি এলাকার বেড়িবাঁধের পাড়ের চিত্র এখনও বিধ্বস্ত। সর্বগ্রাসী আইলার ৬ বছর পেরোলেও দক্ষিণাঞ্চলের উপকুলজুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হাজার হাজার পরিবার এখনও পুনর্বাসিত হয়নি।
স্থানীয় কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বললে নিজেদের দুরবস্থার কথা জানান তারা।
সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, বিগত কয়েকবছর আমাদের কেউ খোঁজ খবর নেয় না। সরকার বা এনজিও থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা আমরা পাইনা।
সরকারি সাহায্যের অপ্রতুলতার কথাও শোনা যায় তাদের মুখে, সরকারি সাহায্য যা আসে তা কেউ পায় কেউ পায়না। শতকরা পাঁচ থেকে দশ শতাংশ লোক সাহায্য পায়।
আইলা পরবর্তী সময়ে কর্মহীন অনেকেই কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়েছে। আর সুন্দরবনের খালগুলোর ওপর নির্ভরশীল জেলেরা এখন বনদস্যু ও ডাকাতদের ভয়ে প্রায় বেকার।
ডাকাতদের দৌড়াত্মে এখন খাবারটাও তারা যোগাতে পারেন না বলে এক সীমাহিন দুর্দশার কথা ধ্বণিত হয় তাদের মুখে। ডাকাতদের ভয়ে মাছ, কাকড়া মারতে পারেন না উল্লেখ করে ক্ষোভ জানান স্থানীয়রা।
আইলা ও সিডর পরবর্তী ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ৫০০টি সাইক্লোন সেন্টার, ২০৩১টি ঘর নির্মানসহ সরকারের নানামুখি পদক্ষেপের জানালেন বিভাগীয় কমিশনার।
সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ক্যাশ ফর ওয়ার্কের কাজ এর মাধ্যমে আমরা অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। এরকম কাজ আরও প্রয়োজন। সরকার বিষয়টি অবহিত আছেন।
প্রকৃতির কড়াল গ্রাসে কাজ হারানো মানুষদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির দাবি স্থানীয়দের।