উন্মোচিত হয়েছে আইফোন ৮। মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টের ১০ বছর পূর্তিতে এই ফোনের নাম দেয়া হয়েছে আইফোন এক্স।
রোমান সংখ্যাতত্ত্বের বিবেচনায় এই আইফোনের এই সংস্করণকে আইফোন ১০ নামে ডাকাটাও দোষের কিছু নয়।
নাম নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের চেয়েও সবচেয়ে বেশি জল্পনা-কল্পনা রয়েছে স্টিভ জবস থিয়েটারে পর্দার সামনে আসা আইফোনটিকে ঘিরে।
মুখ দেখেই মালিক চিনতে পারবে এই ফোন, সামনের পুরোটাই হবে স্ক্রিন এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটির মিশ্রণ। প্রযুক্তি উৎকর্ষতায় নতুন এই আইফোন অ্যাপলের এযাবৎকালের সব আইফোনকে ছাড়িয়ে যাবে এমনটাই ধারণা করছে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তাই দামটাও হবে মানানসই।
প্রযুক্তি কিংবদন্তী স্টিভ জবসের হাত ধরে পথ চলা শুরু করা অ্যাপল দশ বছর পূর্তি করতে যাচ্ছে। এমন বিশেষক্ষণে আইফোনের পথচলার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছেন বিবিসি’র প্রযুক্তি ডেস্কের সম্পাদক লিও কেলিওন।
প্রজেক্ট পার্পল (২০০৫)
অ্যাপলের আইম্যাক এবং আইপড তখন বিশ্বে ভালোই সাড়া ফেলেছে। তবে নিজেদের ফোন নিয়ে দারুণ বিরক্ত ছিলেন স্টিভ জবস এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের সাবেক প্রধান স্কট ফর্স্টঅল। এরপরই প্রজেক্ট পার্পল নামের বিশেষ প্রকল্পের তোড়জোড় শুরু করলো অ্যাপলের প্রযুক্তিবিদরা। ব্যস ভিত্তি পেলো আজকের আইফোন।
আইওএস অ্যাপ স্টোর (২০০৮)
এখন সব মিলিয়ে আইফোনের জন্য প্রায় ২০ লাখ অ্যাপ বাজারে আছে। তবে শুরুতে বেশ নিঃসঙ্গই ছিলো আইফোন। তবে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই আইওএস এর অ্যাপস্টোর উন্মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আইফোন স্ক্রিনে অ্যাপের অভাব দূর হয়।
আইফোনে এলো সিরি (সেপ্টেম্বর ২০১০)
ভয়েস সার্চের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর অনলাইন খোঁজাখুঁজিকে সহজ করে দিতে বাজারে আসে সিরি অ্যাপ। দ্য রক খ্যাত ডোয়াইন জনসনের মতো তারকাকে ব্যবহার করা হয় সিরি’র বিজ্ঞাপনে। তবুও শুরুতে এতো জনপ্রিয়তা পায়নি সিরি। তবে
কয়েক মাস পর আইফোনের সঙ্গী হয়ে সিরি করে বাজিমাত।
প্রথম সেলফি আইফোন এলো ( জুন ২০১০)
আইফোন ফোর প্রকাশ হওয়ার আগে শোনা যেতে থাকে এবার নতুন চমক থাকছে। ফ্রন্ট ক্যামেরা নিয়ে বাজারে আসে আইফোন ফোর। তবে তখন এই ক্যামেরা সেলফি নয় বরং ভিডিও কলের সুবিধার জন্যই বেশি আলোচিত হয়। কারণ ওই ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে মাত্র ০ দশমিক ৩ মেগাপিক্সেলের ছবিই তোলা যেতো।
প্রযুক্তি কিংবদন্তীর মহাপ্রয়াণ (অক্টোবর ২০১১)
২০১১ সালের ৪ অক্টোবরে আইফোন ফোর এস নিয়ে মঞ্চে আসেন টিম কুক। স্টিভ জবসের মতো অতোটা আকর্ষণীয় ছিলো না তার এই মঞ্চে আসাটা। তাই খোদ বিবিসিও এই উপস্থাপনকে দেখেছিলো পানসে হিসেবেই। তবে কুক তখন ভেতরে ভেতরে জেনে গেছেন বন্ধু এবং ওস্তাদ স্টিভ জবসের জীবন সূর্য অস্ত যাচ্ছে।
পরদিন,৫ অক্টোবর সহকর্মী এবং প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাঁদিয়ে চিরবিদায় নেন নতুনের অন্বেষণে অনুপ্রেরণা যোগানো স্টিভ জবস।
আজ মার্কিন সময় সকাল ১০ টায় এই প্রযুক্তি কিংবদন্তীর নামে নামকরণ করা অ্যাপল ক্যাম্পাসের মঞ্চেই দেখা দেবে বহুল প্রতীক্ষিত নতুন আইফোন।