ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। নিরাপত্তায় কোন রকম শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারীও দিয়েছেন তিনি।
ভোটারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভোটারদের নির্ভয়ে ও নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
আজ (সোমবার) নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি সিটি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদেরকে সাবধান করে দেন তিনি।
নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণে দেশিয় পর্যবেক্ষকরা ছাড়াও শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক মাঠে থাকবে। চার হাজারেরও বেশি গণমাধ্যম কর্মীকে নির্বাচনের খবর সংগ্রহের সুবিধার্থে অনুমতিপত্র (কার্ড) দেয়া হয়েছে বলেও জানান রকিবউদ্দীন।
আগামীকাল তিন সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই দুই মহানগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন সিইসি।
৮০ হাজার র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েনের পরও ভোটারদের মানসিক প্রশান্তির জন্য ঢাকা-চট্টগ্রামের সেনানিবাসে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী।
সিইসি জানান, ভোটের আগের দিন থেকে ভোট গ্রহণের পরদিন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হবে ।
সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশনের এসএমএস সুবিধা, কল সেন্টার এবং অনলাইন সেবার কথা তুলে ধরেন তিনি।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রার্থীরা সুন্দরভাবে প্রচারণা ও নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি প্রার্থী ও সমর্থকদের নির্বাচনী আইন মেনে চলার পাশাপাশি সহিষ্ণু হওয়ারও আহবান জানিয়েছেন।
গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস করে জনগণের রায়কে সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে সকল প্রার্থীর প্রতি আহবান জানান রকিবউদ্দীন।