ঔদ্ধত্যপূর্ণ আর অশালীন বক্তব্য এবং মুখভঙ্গির জন্য বরাবরই ব্যাপকভাবে সমালোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া মুসলিম লীগ দিয়ে তার রাজনীতি শুরু। এরপর জাতীয় পার্টি, নিজের গড়া দল এনডিপি হয়ে বিএনপিতে যোগদান মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সাকা।
পিতা ফকা চৌধুরীর মতো তিনিও মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-গণহত্যায় মেতে উঠেন। বিশেষ করে তার টার্গেট ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মুক্তিযুদ্ধে নিজের নেতিবাচক ভূমিকার কথা বরাবরই অস্বীকার করলেও বেশ দম্ভ করেই স্বীকার করেছেন তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকার কথা।
সাকা বলেছিলেন, আমি গর্ব করে বলি আমি ফকার ছেলে, তিনি (ফকা) বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না…
যুদ্ধাপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও নানা সময়ে অসংখ্য দম্ভোক্তি করেছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা।
এমনকি ওই সময় বাংলাদেশের হয়ে তিনি ওআইসির মহাসচিব পদেও প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে মুসলিম দেশগুলোর জোটের ওই ভোটাভুটিতে তার ভরাডুবি হয়।
২০১০ সালে গ্রেফতার হওয়ার ক’দিন আগেওে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেছেন তিনি।
সাকা চৌধুরী তখন বলেছিলেন, আমি তো আর পালিয়ে যাচ্ছি না, ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা মানুষের পালানোর জায়গা কই…
যে কোনো বিষয়ের অশ্লীল উপস্থাপনেও তার জুড়ি মেলা ভার।
জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, পঞ্চম সংশোধনী… লাল মিয়া…
গণমাধ্যমকেও হেয় করে বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকা… হাঁসের গায়ে পানি ছিটানোর মতন…বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলে তা উপভোগও করেছেন সাকা চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, …রুচির বিষয়…কারো আছে কারো নেই…এটা গড়া যায় না…।