ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান ওসান রিম এসোসিয়েশন (আইওআরএ) নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে পূর্ব নিধারিত আনুষ্ঠানিকতা শেষে সম্মেলন শুরু হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও আইওআরএ-এর বর্তমান চেয়ারম্যান জোকো উইদোদো আনুষ্ঠানিকভাবে এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী ২১টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইওআরএ-এর ৭ ডায়লগ পার্টনারসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথিও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ‘গেনডাং পাপুয়া’ (ছোট ঢোল) বাজিয়ে স্থানীয় শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের উদ্দেশে তারা বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও পরে অতিথিদের উদ্দেশে কিছুক্ষণের জন্য বাদ্য বাজান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব গেদলেইলেকিসা জুমা, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ্রাববুহ মানসুর হাদি, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা, মাদাগাসকারের প্রেসিডেন্ট হেরি রাজাওনারিয়ামপিয়ানিনা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপ জাসিনটো নাইয়ুসি, ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হামিদ আনসারী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী সেরি নাজিব রাজাক, কমোরোসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আজালি আসোয়ুমানি, সিসিলি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট মেরিটন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম ট্রানবুল এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
আইওআরএ’র ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই শীর্ষ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশসমূহ নিয়ে আইওআরএ’র এই জোট।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় তিন দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্ট্রেনথিং মেরিটাইম কো-অপারেশন ফর এ পিসফুল, স্ট্যাবল এন্ড প্রসপরাস ইন্ডিয়ান ওশান।’
এরআগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনস্থলে পৌঁছলে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো তাকে অভ্যর্থনা জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী আইওআরএ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে এক ফটোসেশনে যোগ দেন।
সম্মেলন আইওআরএ’র ২১টি সদস্য রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ এবং ৭ ডায়লগ পার্টনার ছাড়াও অন্যান্য বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।