জঙ্গি সংগঠন কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এ যোগদানের অভিযোগে ১৫ তুর্কি নারীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছেন ইরাকের একটি আদালত।
এছাড়া একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডেরও আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম বলছে, আদালত ১৬ জনকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
রায় প্রদানকারী বিচারক জানিয়েছেন, দণ্ড পাওয়া ওই নারীরা নিজেরা আইএস যোদ্ধাদের বিয়ে করেছেন, অন্য নারীদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের সহায়তা বা সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে মাধ্যমে জঙ্গিদের সন্ত্রাসী হামলা চালাতে সাহায্য করেছেন।
বিবিসি জানায়, রোববার ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী এই অভিযুক্ত নারীরা কালো পোশাক পড়ে বাগদাদের কেন্দ্রীয় ফৌজদারি আদালতে হাজির হন। তাদের মধ্যে ৪ জনের সঙ্গে তাদের ছোট ছোট বাচ্চারাও ছিল।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীদের একজন আদালতে বিচারকের কাছে স্বীকারও করেছেন, তিনি আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে মিলে ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেছেন।
ইরাকে বর্তমানে প্রায় ৫শ’ নারী ও ৬শ’ শিশুকে আইএস যোদ্ধাদের আত্মীয় সন্দেহে আটক রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তাদের কয়েকশ’ জনের বিচার শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে তারা যে শুধু তুর্কি বা স্থানীয় ইরাকি তা নয়।
গত জানুয়ারিতে এক জার্মান নারীকে আইএসে যোগদানের কারণে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনান ইরাকের আদালত। মসুল পুনর্দখলের যুদ্ধে ২০১৭ সালে আটক হওয়া ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ: তিনি ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করে কয়েক হাজার বিদেশি নারী-পুরুষ নিহত হয়েছে।
গত ডিসেম্বরেই আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সমাপ্ত ঘোষণা করে ইরাক সরকার। অধিকাংশ এলাকা থেকে জঙ্গি যোদ্ধাদের সরিয়ে দিতে সফল হলেও এখনো সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন জায়গায় আত্মঘাতীসহ বিভিন্ন ধরনের বিচ্ছিন্ন হামলা চালাচ্ছে।