ওভাল টেস্টের শেষ ইনিংসে আর দলকে টানতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ (২৩)। ফলে দলও ডুবেছে। ম্যাথু ওয়েড ১১৭ করলেও ব্রড ও লিচের দাপটে ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়া (২৬৩) হার ১৩৫ রানে। সিরিজ ২-২। অবশ্য আগের সিরিজ জেতার সুবাদে অ্যাশেজ থেকে গেছে অজিদের শোকেসেই।
এই অ্যাশেজে অবিশ্বাস্য ফর্মে ছিলেন স্মিথ। ৪ টেস্টের ৭ ইনিংসে করেছেন ৭৭৪ রান।
উল্টোটা হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্ষেত্রে। তার জন্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় হয়ে থাকল এই অ্যাসেজ। বিশ্বরেকর্ড করে ফেলেছেন। পাঁচ টেস্টের দশ ইনিংসে সব মিলিয়ে করেছেন ৯৫ রান।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পাঁচ সিরিজে এত কম রান অন্যকোনো ওপেনার আর কখনো করেননি। তার উপর সাতবার তাকে আউট করেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড।
আরও রেকর্ড হয়েছে, তবে লজ্জার। ১১৩ বছরের রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিয়ে সর্বনিম্ন ব্যাটিং গড়ের ওপেনিং জুটির নজির গড়েছে সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজ সিরিজ। রোববার অজি ওপেনার মার্কাস হ্যারিস সাজঘরে ফিরতেই ইতিহাসে ঢুকে পড়ে হাড্ডাহাড্ডি এই সিরিজ।
এবারের অ্যাশেজে দুই দলই ওপেনিং জুটি নিয়ে গভীর সমস্যায় ভুগেছে। শেষ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরু করতে মাঠে নামেন ডেভিড ওয়ার্নার ও হ্যারিস। গত নয় ইনিংসে ক্রিস ব্রডের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছেন ওয়ার্নার। তবে এদিন তিনি নন, ইংলিশ পেসারের খাতা খুলে দেন তার সঙ্গী মার্কাস হ্যারিস। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে অফস্টাম্প উড়িয়ে দেন ব্রড।
শেষপর্যন্ত এবারের অ্যাশেজে দুই দলের মিলিত ওপেনিং জুটির ব্যাটিং গড় ১২.৫৫, যা সর্বকালের সর্বনিম্ন। এর আগে ওপেনিং জুটির সর্বনিম্ন ব্যাটিং গড় ছিল ১৯০৬ সালে, সাউথ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের সিরিজে রান উঠেছিল ১৪.১৬ গড়ে।
পঞ্চম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে দুরমুশ করে ১৩৫ রানে টেস্ট জেতে ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত সিরিজ শেষ হয়েছে ২-২ ব্যবধানে। তবে আগের সিরিজটি জেতা থাকার সুবাদে অ্যাশেজ থেকে গেল অস্ট্রেলিয়াতেই।