হাতের কনুইয়ের চোট সঙ্গে জফরা আর্চারের বাউন্সারের আঘাত নিয়েও লর্ডস টেস্টে লড়াকু এক ইনিংস খেলেছিলেন স্টিভেন স্মিথ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে পারেননি। এরপরও আশায় ছিল অস্ট্রেলিয়া, হেডিংলি টেস্টে হয়তো পাওয়া যাবে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু অজিদের জন্য দুঃসংবাদ, চোট থেকে সেরে না ওঠায় সাবেক অধিনায়ককে তৃতীয় টেস্টে পাওয়া হচ্ছে না তাদের।
২২ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে হেডিংলি টেস্ট। লর্ডস টেস্টের সঙ্গে ব্যবধান মাত্র তিনদিনের। এত অল্প সময়ে সেরে উঠা সম্ভব নয় জেনেই স্মিথকে এই টেস্ট থেকে সরিয়ে নিয়েছে অজিরা।
অবশ্য এই সময়ের মধ্যেই স্মিথের বিকল্প ঠিক করা হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার। তিনে নামানো হতে পারে মার্নাস লাবুশেনকে। এরইমধ্যে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। লর্ডসে দ্বিতীয় ইনিংসে স্মিথের জায়গায় নেমে খেলেছেন ৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস।
লর্ডস টেস্টে প্রথম ইনিংসে ইংলিশ পেসার আর্চারের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে প্রায় একঘণ্টা মাঠে নামতে পারেননি স্মিথ। এরআগে থেকেই কনুইয়ের চোটে ভুগছিলেন। পরে নেমে খেলেছেন ৯২ রানের ইনিংস। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাথা ব্যথা ও অস্বস্তিতে ভোগায় স্মিথকে নামানোর ঝুঁকি নেয়নি দল। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লাবুশেন।
তবে সহ-অধিনায়ক ট্রাভিস হেড আশায় ছিলেন পরের টেস্টে হয়তো পাওয়া যাবে স্মিথকে। হেডিংলিতে মাঠেও দেখা গিয়েছিল তাকে। উইকেট দেখার সময় কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে পরামর্শ করতে দেখা যায় তাকে। পরে দলের চিকিৎসক রিচার্ড শোর সঙ্গেও পরামর্শ করেন স্মিথ। একাধিক আলোচনা শেষে অবশেষে একাদশ থেকে সরিয়ে নেয়া হয় তাকে।
তৃতীয় টেস্টে খেলতে না পারলেও ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে স্মিথের ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। এরমাঝে দুই সপ্তাহ বিশ্রাম পাবেন তিনি। এরইমাঝে পুরোপুরি সুস্থ ব্যাটসম্যানকে পাওয়ার আশায় আছে অস্ট্রেলিয়াও।
এজবাস্টনের প্রথম টেস্ট জিতে অ্যাশেজে ১-০তে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। দুদলের মধ্যে হওয়া লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়।