ড্যানিয়েল সুজিত বোস: সুন্দরবনের জলজ জীব ও ইকোসিস্টেম টিকিয়ে রাখতে শীলা কাঁকড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও এর গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু অবৈধভাবে আহরণের কারণে এই কাঁকড়া এখন অস্তিত্ব সংকটে। তাই কৃত্রিম উপায়ে এর রেণু উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
শীলা কাঁকড়ার বৈজ্ঞানিক নাম শাইলা অলিভাসিয়া। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ এদের বসবাসের উপযোগী। সর্বভুক এ প্রাণী মৃত ও ক্ষতিকারক প্রাণী খেয়ে জলজ পরিবেশ দূষনমুক্ত রাখে। ভূমিকা রাখে মাটির নিউট্রিশন নিয়ন্ত্রণ ও রাসায়নিক ডিকম্পোজিশনেও।
ফিমেল কাঁকড়া ৮০ গ্রাম এবং মেল ১৮০ গ্রামের বেশি হলেই আহরণ করার নিয়ম রয়েছে, কিন্তু সে নিয়ম না মেনেই চলছে অবৈধ আহরণ। প্রাকৃতিক উৎস যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কৃত্রিম উপায়ে এই কাঁকড়ার রেনু উৎপাদনের কথা বলছেন পরিবেশবিদরা।
এভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আমিষের চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:
https://www.youtube.com/watch?v=4uum6KR46e8