ঢাকায় টাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের মতো বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হত্যাকান্ডকেও ভিন্ন খাতে নেয়ার চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। অস্তিত্ব জানান দিতে জেএমবি এ ধরণের নাশকতা করে বলে তিনি মনে করেন। চক্রান্তের উদ্দেশ্য এবং পেছনে কারা জড়িত তা শিগগির প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বগুড়ার শিবগঞ্জের গ্রামে শিয়া মসজিদের ভেতর মুসল্লিদের গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ও র্যাব। ঘটনার পরপরই আইএসের নামে দায় স্বীকারকে টাভেলা সিজার হত্যার পর দায় স্বীকারের মতো ভিত্তিহীন মনে করছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি তৎপরতা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মিলিয়েই একটি চক্রান্ত। জনগণ তা বুঝতে পেরেছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দারা কাজ করছে বলে জানান তিনি। গোয়েন্দারা শিঘ্রিই তাদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবকিছু জানতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, টাভেলা সিজারের হত্যাকাণ্ডটি জেএমবি’র কাজ ছিলো না; এটি একটি ষড়যন্ত্র ছিলো। আর হোসেনী দালানের ঘটনাটি উগ্রপন্থিদের কাজ ছিলো। মাঝে মাঝে অস্তিত্ব জানান দিতে এ ধরণের নাশকতা করে জেএমবি। এটিও সেরকমই কিছু ছিলো। এদের সবাইকে ধরে ফেলা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।
হামলার শিকার দুই ব্লগারের নিরাপত্তাহীনতার কারণে কারণে দেশত্যাগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দু একটি ছাড়া বেশিরভাগ ব্লগার হত্যা মামলার তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি আছে বলেও দাবি তার।