দেশব্যাপী শত শত মানুষের লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ থেকে কয়েক ডজন মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দু মেলবোর্নে প্রায় এক মাস ধরে চলমান কঠোর পদক্ষেপের প্রতিবাদে প্রায় ৩০০ লোক মিছিল করে। তাছাড়া সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড এবং পার্থেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, দেশের আটটি রাজ্য ও অঞ্চলের মধ্যে সাতটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের অভ্যন্তরীণ সীমানা খোলার বিষয়ে একমত হয়েছে।
তার প্রস্তাবনা ছিলো নিউজিল্যান্ডের সাথে একটি চূড়ান্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা করা যেটা পর্যটনকে বাড়িয়ে তুলতে এবং অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে পারে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের অভাবে এভাবেই আমাদের বছরের পর বছর জীবন ধারণ করতে হবে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অ্যান্টি-লকডাউন’ গ্রেপ্তারের কারণে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
মেলবোর্নে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের স্বাধীনতার উপস্থিতিতে ‘স্বাধীনতা’ এবং ‘মানবাধিকার বড় বিষয়’ বলে স্লোগান দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একজনকে পুলিশ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য দেড় শতাধিক জরিমানাও করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে সিডনিতে দুটি এবং বায়রন বেতে একটি সহ অন্যান্য জায়গায় ছোট ছোট সমাবেশ হয়। একসময় তা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তিনজনসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ তীব্র করে তোলা রোধ করতে জুলাই থেকে সেখানে ছয় সপ্তাহের লকডাউন চলছে। কর্তৃপক্ষ মেলবোর্নে ঘরে থাকার বিধি এবং কারফিউ আরোপ করা হয়। লকডাউন অনেক ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে এবং রাজ্য জুড়ে সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় মোট সংক্রমণের ৭৫ শতাংশ এবং মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশ ভিক্টোরিয়ায় হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় নিশ্চিত ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা গত দুই মাসের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত ২৬,০০০ এরও বেশি। একই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর পরিমাণ ১০৪ থেকে বেড়ে ৭৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।