বেতন-ভাতা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের ঝামেলা এখনো শেষ হয়নি। বিবিসি শুক্রবার জানিয়েছে, সংশোধিত বেতন প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট প্লেয়ার্স ইউনিয়ন। ক্রিকেটাররা বলে দিয়েছেন, নিজেদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ সফর বয়কট করা হবে।
আগস্টে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ার। ইতিমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) দলও ঘোষণা করেছে।
বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ঝামেলাটা বোর্ডের প্রস্তাবিত নতুন চুক্তি ঘিরে। এতে ক্রিকেটারদের মোট আয় প্রায় ৩৫ শতাংশ বাড়বে, তবুও বোর্ডের আয়ের তুলনায় খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা নিতান্তই কম মনে করছেন খেলোয়াড়রা। খেলোয়াড়দের বেশি আপত্তি রাজস্বের অংশ নিয়ে। ১৯৯৭ সাল থেকে চলে আসা বর্তমান চুক্তিতে রাজস্বের একটা অংশ পান ক্রিকেটাররা। তৃণমূলের ক্রিকেটে অনুদান আরও বাড়াতে এবার এতে একটু বদল আনতে চাইছে বোর্ড। তাদের প্রস্তাব, শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররাই বাড়তি রাজস্বের ভাগ পাবেন, ঘরোয়া ক্রিকেটাররা পাবেন একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক।
কিন্তু স্মিথ-ওয়ার্নাররা ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটারদের জন্যও লড়ে যাচ্ছেন। এ নিয়েই চলছে অচলাবস্থা। ৩০ জুনের মধ্যে নতুন চুক্তিতে সই না করলে বর্তমান চুক্তি শেষে ক্রিকেটারদের আর বেতন দেবে না বোর্ড। ক্রিকেটাররাও অবস্থা না বদলালে চুক্তি সই করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুই পক্ষ এখনো দূরে রয়েছে। অনেকগুলো মৌলিক বিষয়ে এখনো কেউ সমঝোতায় আসেনি।’
দুদিন আগে ডেভিড ওয়ার্নার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তাদের দাবি না মানলে ৩০ জুনের পর থেকে সব ক্রিকেটার বেকারত্ব বরণ করবেন।
‘আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, আমরা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চাই। কিন্তু আমরা যা চাইছি, সেটা অর্জিত না হলে বাংলাদেশে যাচ্ছি না।’ বলেন ওয়ার্নার।