অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী দিক নিয়ে কথা বলতে গেলে গতি সম্পন্ন পেসারদের কথা বলতে হয় সবার আগে। কিন্তু ওই গতিতে তারা যতই শক্তিশালী হোন না কেন, বাংলাদেশ চিন্তিত নয়। বিসিবিতে জিম শেষে ইমরুল কায়েস বললেন, বাংলাদেশ এখন আর এটা নিয়ে চিন্তা করে না।
‘আন্তর্জাতিক প্রত্যেকটা ম্যাচেই দেখবেন পেস অ্যাটাক ভাল থাকে। অস্ট্রেলিয়ারও ভালো অ্যাটাক আছে। এটা নিয়ে এখন কেউ চিন্তা করে না। বাংলাদেশ দল পেস খেলতে পারে না কিংবা পেসে দুর্বল, এমনটা এখন নেই।’
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের খুব বেশি টেস্ট খেলা হয়নি। টেস্ট আঙিনায় পা রাখার ১৭ বছরে অজিদের সঙ্গে টাইগাররা খেলেছে মাত্র চারটি টেস্ট। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে দুটি আর ২০০৬ সালে দেশের মাটিতে দুটি। ১১ বছরের লম্বা বিরতি ভেঙে ১৮ আগস্ট দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া।
আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতিক্যাম্প শুরু না হলেও নিজ তাগিদে ফিটনেসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। মুশফিক, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল, সাব্বিরের পর মঙ্গলবার যোগ দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। ফিটনেস নিয়েই ঘাম ঝরাচ্ছেন সবাই।
নিজের ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে ইমরুল বললেন ব্যক্তিগত কোনো টার্গেট সেট করে মাঠে নামেন না তিনি, ‘ব্যক্তিগত টার্গেট আমি সেট করি না। তাতে নিজের প্রতি প্রেসার তৈরি হয়ে যায়। খেলতে থাকি…যদি সুযোগ পাই ইনিংস বড় করার চেষ্টা থাকবে। চেষ্টা করবো শেষ যেভাবে খেলে এসেছি টেস্ট ক্রিকেট ওভাবে খেলার।’
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট খেলার তেমন সুযোগ আসে না। এবারের সিরিজটায় বাড়তি গুরুত্ব থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরুল বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট খেলতে পারা অনেক বড় সুযোগ। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্যই। যদি খেলার সুযোগ পাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। চেষ্টা থাকবে টিম হিসেবে খেলার, ফলাফল আশা করবে সবাই।’
জাতীয় দলে ইমরুল কায়েসের পজিশন কখনোই নির্দিষ্ট নয়। কখনো ওপেন করেন, কখনো নিচের দিকে নেমে যান। ইমরুল মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ঠিকই, কিন্তু সমস্যাও একটু হয়।
‘এটা সবার জন্য সমস্যা। আপনি অফিসে গিয়ে যদি দেখেন আপনার ডেস্ক পরিবর্তন হয়ে অন্য জায়গায় গেছে, তখন কাজ করতে অস্বস্তি লাগবে। সেম জিনিস সবার হয়। লাইফে শুধু ক্রিকেট খেলায় না, যেকোনো মানুষের জীবনে এটা প্রভাব ফেলে।’
ইংল্যান্ডকে কঠিন প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু তাদের বাংলাদেশ নিজেদের শেষ টেস্টে হারিয়ে দিয়েছে। সেকথা স্মরণ করে ইমরুল বলেন, ‘ইংল্যান্ডের সাথে ভেবেছিলাম খুব কঠিন হবে। আমরা যখন খেলা শুরু করলাম বুঝতে পেরেছি পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, কী হচ্ছে। তাই আমার কাছে মনে হয় কোন টিম শক্তিশালী আর কোন টিম দুর্বল-এটা ভাবার দরকার নেই। আমরা মাঠে একটা টিম হিসেবে খেলি। যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি…কোন টিম কী করবে না করবে ওটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। আমাদের উচিত হবে পরিকল্পনা ঠিক রাখা।’