মহামারীর মাঝে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন যে সম্ভব নয়, অবশেষে তা মানছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও (সিএ)। বোর্ড চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস বাস্তবতা মেনেই স্বীকার করেছেন, এমুহূর্তে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনা কেবলই ‘অবাস্তব’ এক চিন্তা!
১৮ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গড়ানোর কথা ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এ নিয়ে সিএ’র পক্ষে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে, যেকরেই হোক সময়মত বিশ্বকাপ আয়োজন করবে তারা।
বাস্তবতা বলছে ভিন্ন, মহামারীর সময়ে ১৬ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন একপ্রকার অলীক ভাবনাই। বিশেষ করে দলগুলোকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে থাকতে হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। যে সময়ের সমস্ত ব্যয়ও বহন করতে হবে স্বাগতিকদেরই। আবার অংশগ্রহণকারী কিছু দেশের করোনা পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, সহসাই সমস্যার গতি হবে বলেও নেই কোনো নিশ্চয়তা।
বাস্তবতা মেনেই মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে এডিংস জানিয়েছেন আপাতত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে না ভাবাই শ্রেয়, ‘যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ স্থগিত কিংবা পেছানো হয়নি, তাই চেষ্টা চলছে ১৬ দেশ নিয়ে আয়োজন সম্পন্ন করার। তবে আমি মনে করি এটি অবাস্তব এবং খুবই কঠিন এক সিদ্ধান্ত।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসের পদত্যাগ। মঙ্গলবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রবার্টসের পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার কথা জানিয়েছেন এডিংস। আপদকালীন প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পেয়েছেন নিক হকলি।
‘কেভিন ২০১৮ সাল থেকে কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও বিশেষ করে শেষ কয়েকমাসে অক্লান্তভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি একজন নীতিবান মানুষ। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’
২০১৮ সালে জেমস সাদারল্যান্ডের উত্তরসূরি হিসেবে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পান রবার্টস। দায়িত্ব নেয়ার সময়ই বল টেম্পারিংয়ে এলোমেলো ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। কঠিন সেই পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামলেছেন। দায়িত্বের আরও একবছর বাকি থাকলেও আগেভাগেই পদ ছাড়লেন ৪৭ বছর বয়সী এ কর্মকর্তা। যদিও খবর, তাকে সরে যেতে বলা হয়েছে বোর্ড থেকে।
ইংলিশ বংশোদ্ভূত নিক হকলির হাত ধরে গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে সফলভাবে নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নের অস্ট্রেলিয়া-ভারত ফাইনালে ৮৬ হাজার দর্শক উপস্থিতির এক নতুন রেকর্ডও হয়েছে সেসময়। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় সিএ বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রধান ছিলেন তিনি। ছয় বছর কাজ করেছেন লন্ডন অলিম্পিক অর্গানাইজিং কমিটিতে।