লক্ষ্যটা থাকতে পারত নাগালে। কিন্তু একাধিক ক্যাচ মিস ও বাউন্ডারি লাইনে বাজে ফিল্ডিংয়ের ফায়দা কাজে লাগিয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ২১৩ রানের পুঁজি। ৪৮ রানে ৪ উইকেট তুললেও শেষ পর্যন্ত সফরকারীদের অল্পতে আটকাতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে দুইশ পেরিয়ে যায় অ্যালিসা হিলির দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মন্থর উইকেটে যা বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। ফাহিমা খাতুনের ২৯ রানের শেষ ওভারটি স্বাগতিকদের জন্য বড্ড হতাশা উপহার দেয়।
সাত নম্বরে নামা সাদারল্যান্ডের (৫৮*) লড়াকু ফিফটি ও নয় নম্বরে নামা অ্যালানা কিংয়ের ৩১ বলে ৪৬ রানের ক্যামিও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নিয়ে যায় লড়াকু সংগ্রহে। অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে ৫৬ বলে ৬৭ রান যোগ করেন।
প্রথমবার বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে এসে শুরুর ম্যাচেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। পঞ্চাশের আগেই সফরকারীরা হারায় ৪ উইকেট।
আগের রাতে বৃষ্টির কারণে মিরপুরের উইকেট সকাল ছিল কিছুটা স্যাঁতস্যাঁতে ও মন্থর। যেখানে টস জিতে আগে বোলিং বেছে নেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
টাইগ্রেস অধিনায়ককে বোলাররা শুরুতেই এনে দিতে থাকেন একের পর এক সাফল্য। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই অফস্পিনার সুলতানা খাতুনকে উইকেট দেন লিচফিল্ড। গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন অজি ওপেনার। এরপর অ্যালিসা পেরিকে ফেরান সুলতানা।
অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ২১। আরেক ওপেনার অ্যালিসা হিলি খেলছিলেন সাবলীলভাবেই। ২৪ রান করা অজি অধিনায়ককে ফেরান মারুফা আক্তার। উইকেটের পেছনে জ্যোতির গ্লাভসে ক্যাচ জমা করেন।
অস্ট্রেলিয়া যখন দলীয় পঞ্চাশের কাছে তখন নাহিদা আক্তার এনে দেন সাফল্য। এ বাঁহাতি স্পিনার ইনকামিং ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করেন তাহিলা ম্যাকগ্রাথকে (৯)। দলীয় ৭৮ রানে বেথ মুনিকে ফেরান ফাহিমা। ২৫ রান করে ফেরেন এ ব্যাটার। এরপর দুটি ক্যাচ মিস করে বসে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। কয়েকটি বাউন্ডারি হয়ে মিস ফিল্ডিংয়ের কারণে।
দলীয় একশ পেরোনোর পর অ্যাশলে গার্ডনারকে (৩৮ বলে ৩২ রান) ফেরান নাহিদা আক্তার। দেড়শর আগে সপ্তম উইকেট হারায় অজিরা। ১৪৬ রানে ফিরে যান জর্জিয়া ওরিহাম (১২) স্বর্না আক্তারের লেগ স্পিনে স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রাবেয়া খান। এরপর আর বাংলাদেশকে সুযোগ দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। সাদারল্যান্ড ও অ্যালানা কিং মিলে দলকে নিয়ে যান শক্ত অবস্থানে। ফাহিমার শেষ ৫ ডেলিভারি থেকে ৪টি ছক্কা ও একটি চার মেরে বাংলাদেশকে হতাশা উপহার দেন কিং।