ধর্মভিত্তিক দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিলো একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে উল্টোপথে যাত্রা শুরু করেছিলো নিয়ন্ত্রকরা। এর সঙ্গে পরে যুক্ত হয় জঙ্গিবাদ। রাষ্ট্রীয়ভাবে জঙ্গিবাদ নির্মূলের কাজ চলছে, চেষ্টা আছে একটি উদার রাষ্ট্র গঠনের।
বাহাত্তরের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি ছিলো ধর্মনিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধান থেকে তা ছেঁটে ফেলা হয়। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরাসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির সুযোগ পায়। পরে সংবিধানে যুক্ত হয় রাষ্ট্রধর্ম। রাষ্ট্র ও রাজনীতির এরকম উল্টোযাত্রায় শুরুতে আফগানিস্তান থেকে ফেরা জঙ্গিরা সংগঠিত হতে থাকে। পরে যুক্ত হয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন। এমনকি সরকার থেকেও পৃষ্ঠপোষকতা পায় তারা। ওয়ান ইলেভেনের পর অবশ্য দৃশ্যপট পাল্টে যায়। আর ১০ বছর ধরে জঙ্গিবাদ দমনের কাজ করছে শেখ হাসিনার সরকার বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ।
জঙ্গিবাদ নির্মূলে এখন পর্যন্ত অর্জনকে বড় অগ্রগতি মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বললেন, সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি সম্ভাবনার দেশ এখন বাংলাদেশ।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদ একটি বড় সমস্যা। তাই সাময়িক সাফল্যে সন্তুষ্ট না থেকে একে প্রতি মুহূর্তের সমস্যা মনে করে মোকাবিলা করতে হবে। সেসঙ্গে যে মৌলনীতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিলো সেই চেতনায় বড় করতে হবে নতুন প্রজন্মকে।