স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে গেছে বার্সেলোনা। তবে সব শেষ না হয়ে গেলেও শিরোপা জেতা তাদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে। মৌসুমের প্রথম শিরোপা জিততে হলে প্রায় অসাধ্য সাধন করতে হবে কাতালানদের। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ সামনে রেখে তেমন অপেক্ষাতেই রয়েছেন মেসি-সুয়ারেজরা।
অসাধ্য সাধন করার অভিজ্ঞা আছে দেখেই আরও একবার সেটার অপেক্ষায় বার্সা ও তাদের সমর্থকরা। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই এমন এক ম্যাচ জিতে দেখিয়েছে তারা। প্রথম লেগে পিএসজির কাছে ৪-০ গোলে হেরেও ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে ৬-১ গোলের অবিশ্বাস্য জয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল বার্সা। সেই স্মৃতি বুকে ধরে আরও একবার গর্জে ওঠার অপেক্ষায় কাতালান শিবির।
সুখ স্মৃতির সঙ্গে তার বিপরীতটাও অবশ্য রয়েছে। অবিশ্বাস্য কিছু সব সময় ঘটে না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই পিএসজি ম্যাচের পরের ম্যাচে জুভেন্টাসের ৩ গোলের বাধা ডিঙাতে পারেনি বার্সা। সেই শঙ্কার সঙ্গে এই ম্যাচে আরেকটি সমস্যা, পিএসজির বিপক্ষে জয় এনে দেয়ার অন্যতম কারিগর নেইমার যে এখন দলেই নেই।
নেইমার না থাকলেও হার মেনে বসে নেই বার্সেলোনা। তবে সে জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজদের। রিয়ালের বিপক্ষে অসাধ্য করতে যা যা করতে হবে তাদের-
রিয়াল প্রথম লেগ ৩-১ ব্যবধানে জেতায় ৩টি ‘অ্যাওয়ে’ গোলে এগিয়ে তারা। তাই বার্সাকে ৩-০ গোলে জিততে হবে। এর মধ্যে রিয়াল যদি ১ গোল করে ফেলে, বার্সাকে করতে হবে ৪ গোল। তখন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতেও করতে হবে ৩ গোল। আর ম্যাচের ফল যদি ৩-১ হয় তাহলেও ম্যাচ গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময় পেয়ে গেলে লাভ হবে বার্সার। এই সময়ে দুই দল যদি গোল করে সমতায় থাকে, তো ‘অ্যাওয়ে’ গোলের সুবাদে জয় পাবে বার্সা। যেহেতু ম্যাচটি হবে রিয়ালের মাঠে। তবে রিয়াল যদি ২ গোল করে ফেলে, সেক্ষেত্রে বার্সাকে তখন করতে হবে কমপক্ষে ৪ গোল।
হিসাব যাই বলুক বার্সার জন্য কাজটা যে অসম্ভব তা নয়। সাম্প্রতিক ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, বার্নাব্যুতে গত ১২ বছরে রিয়ালকে ৪-০, ৬-২ ও ৩-০ গোলে হারানোর রেকর্ড আছে কাতালানদের।