প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অশুভ শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত না করা পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে তিনি বলেন, নজরুল এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করে বাঙ্গালীর আশা পূরণ করেছেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো কুমিল্লায় যান। ময়নামতি মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারসহ ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরো ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন, জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত জেলা কুমিল্লার টাউনহল মাঠে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বক্তব্যের শুরুতেই কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কাজী নজরুল ইসলামের লেখনিতে সর্বস্তরের মানুষের কথা উঠে এসেছে।
তিনি বলেন,কবি নজরুল সর্বস্তরের মানুষের জন্য লিখেছেন। তার লেখায় কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, কুমোর, কামার সব শ্রেণির মানুষের কথা ফুটে উঠেছে। তার লেখায় তিনি ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যকে সমাজের সামনে চিত্রিত করেছেন অত্যন্ত সুন্দর ও মানবিকভাবে। নারী অধিকারের কথা কবির লেখায় প্রথমপ্রকাশ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবার কলকাতা থেকে ঢাকায় এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নজরুলকে জাতীয় কবির সম্মানেও ভূষিত করেছিলেন জাতির জনক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কবি নজরুল তার লেখার মধ্য দিয়ে আজীবন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। তার থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে। নজরুল ও জাতির পিতা সব সময় মানুষের চেতনাকে জাগ্রত করেছেন। তাই তারা একে অপরকে বুঝতে পারতেন। বঙ্গবন্ধু কবিকে সপরিবারে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে তাকে জাতীয় কবির উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে কুমিল্লাকে বিভাগ করাসহ আরো কিছু উন্নয়ন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।