সিলেট থেকে: কৃত্রিম আলোয় দুই ওভার ব্যাটিং করে ১ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংস থেকে তাদের লিড ১৩৯। ব্যাটিংয়ে নিজেদের বিপর্যস্ত দিনের পর সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের ১৫০ রানে বেধে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। সে চ্যালেঞ্জে বোলাররা সফল হলেও তো স্বাগতিকের লক্ষ্যটা চলে যাবে তিনশর কাছে।
আড়াইশর কাছাকাছি রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাদের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে ২১৫ রান তাড়া করে ৪ উইকেটে পাওয়া জয়ই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা। তাতে সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারাতে হলে লিখতে হবে নতুন কোনো রেকর্ড। অলীক স্বপ্ন মনে হতে পারে অনেকের কাছে। টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম অবশ্য দেখছেন তেমন স্বপ্নই।
‘আসলে টেস্ট ক্রিকেটটা রেকর্ডের খেলা। রেকর্ড কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটেই বেশি হয়। আমরাও তাই চাচ্ছি, আমাদের দল এমন কোনো রেকর্ডই করুক।’
প্রথম ইনিংসে কেনো ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ? সেটির ব্যাখ্যায় গেলেন না তাইজুল। বোলারের কাছে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার উত্তর প্রত্যাশা করাও বোকামি। দিনের খেলা শেষে দলের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে আসা তাইজুল তারপরও যেটি বোঝাতে চাইলেন সেটির সারকথা, ক্রিকেটে বাজে দিন আসতেই পারে।
‘সমস্যাটা কোথায় এটা আসলে বলতে গেলে বলব, আমাদের ব্যাটসম্যানরা এর আগে ভালো করেনি এমন নয়। হয়তো হঠাৎ করেই এমনটা হচ্ছে। ক্রিকেটে এমন দিন আসে। আমরা চেষ্টা করব সামনে ভালো করার।’
ম্যাচের প্রথম দিন জিম্বাবুয়ে তুলেছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান। বাংলাদেশ দলের পেসার ও সিলেটের লোকাল বয় আবু জায়েদ রাহি দিনের খেলা শেষে জানান, উইকেট ফ্ল্যাট, অর্থাৎ ব্যাটিং সহায়ক।
দ্বিতীয় দিনের সকালে জিম্বাবুয়ে আর ৪৬ রান তুলেই গুটিয়ে যায়, ২৮২-তে। তাইজুল একাই নেন ৬ উইকেট। পরে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুঁটিয়ে যায় মাত্র ১৪৩ রানে। দুই দলের ১৫ উইকেট পড়ে এক দিনেই। রান ওঠে মাত্র ১৯০। তবুও উইকেট ফ্ল্যাটই বললেন তাইজুল।
৩ উইকেট নেয়া জিম্বাবুইয়ান পেসার তেন্ডাই চাতারাও জানালেন উইকেটে তেমন কিছু ছিল না। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে দেড়শর আগেই গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অজুহাত খোঁজার দরকার পড়ছে না। বোলাররা যখন বলছেন উইকেট ফ্ল্যাট, তখন ব্যাটসম্যানদের তেমন কিছু বলার সুযোগ থাকছেও না!