ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ফরহাদ রেজা বল হাতেও শেষের কাজটা সারলেন দারুণভাবে। ২৬ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে লড়াই হল সমানে সমান। রোমাঞ্চকর সমাপ্তি টেনে শেখ জামালকে ১ রানে হারাল প্রাইম দোলেশ্বর।
সোমবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের পথেই হাঁটতে থাকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেষ ওভারে তাদের দরকার পড়ে ১১ রান, হাতে দুটি উইকেট। ফরহাদ রেজা দিলেন ৯, তুলে নিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তানবীর হায়দারের উইকেট।
পরে শেষ বলে ৬ রানের প্রয়োজন পড়লে এ ডানহাতি পেসারকে উইকেটের পেছন দিয়ে বাউন্ডারি মারেন খালেদ আহমেদ। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে ২৬ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের চার-ছক্কার প্রদর্শনীর পর ১ রান জয় পায় দোলেশ্বর।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটি ছোঁয়ার পর বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজাই।
ওভারপ্রতি ৯.২০ হারে রান তোলার কঠিন সমীকরণ আরেকটু হলে মিলিয়েই ফেলেছিল শেখ জামালের ব্যাটসম্যানরা। ইমতিয়াজ হোসেন তান্নার ২২ বলে ৩৪, ভারতীয় রিক্রুট অনুতাপ মজুমদারের ৪২ বলে ৪৪, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ২০ বলে ৩৭, জিয়াউর রহমানের ২১ বলে ৪৬ ও তানবীর হায়দারের ২৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে কঠিন লড়াই জমিয়ে তোলে ধানমন্ডির ক্লাবটি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দোলেশ্বর বড় সংগ্রহের পথে হাঁটে ইমরান-উজ-জামান (৭৫) ও পাকিস্তানি রিক্রুট সাদ নাসিমের ফিফটিতে (৫১)। শেষদিকে নেমে ফরহাদ রেজা দলের পুঁজি বাড়িয়ে নেন ঝড়ের বেগে রান তুলে। ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ১৮ বলে। যেটি রেকর্ড।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির আগের রেকর্ড ছিল নাজমুল হোসেন মিলনের। এই ব্যাটসম্যান ২০০৭ সালে জাতীয় লিগের একদিনের ম্যাচের সংস্করণে ঢাকা বিভাগের হয়ে খুলনার বিপক্ষে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন ১৯ বলে। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৬টি ছয়ের মার।