শুরুতে মুমিনুল-নাসিরের ব্যাটিং, পরে নাসিরের আঁটসাঁট বোলিং; মূলত এই দুই তারকার কাছেই হারল প্রাইম দোলেশ্বর। বুধবার তিনশ পেরোনো সংগ্রহ গড়ার পর ৩৫ রানের জয়ে মাঠ ছেড়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শুরুতে ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার সময় ৩০৭ রানের সংগ্রহ গড়ে গাজী ক্রিকেটার্স। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানের বেশি এগোতে পারেনি প্রাইমরা।
সকালে ৯ রানের মাঝে এনামুল হক (৩) ও জহুরুল ইসলামের (২) বিদায়ের পর উইকেটে রাজত্ব করেন মুমিনুল-নাসির। প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে টাইগারদের ওয়ানডে দলে উপেক্ষিত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। নাসির করেছেন ফিফটি।
দ্বিতীয় ওভারেই ক্রিজে এসে প্রথমে রানে থাকা নাসির হোসেনের সঙ্গে ১৫৩ রানের জুটিতে গড়েছেন মুমিনুল। ২৪.১ ওভার স্থায়ী জুটিতে নাসিরের অবদান ৭৬ বলে ৬৪ রান। যাতে নাসির ৭ চার ও ১টি ছয় মেরেছেন।
পরে পারভেজ রসুলের সঙ্গে ১২.৪ ওভারে ১০১ রানের জুটি গড়েছেন মুমিনুল। পারভেজের ব্যাটে এসেছে ৫৩ রান।
অন্যপ্রান্তে ১২০ বলে ১৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন মুমিনুল। ৪২তম ওভারের সময় ফরহাদ রেজার বলে আব্দুল মাজিদের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ইনিংসটি গড়েছেন ১৬টি চার ও ৬টি ছক্কায়। ফিফটি এসেছে ৫৪ বলে, মুমিনুল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় শতকে পা দেন ৮৯ বলে, পরে তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন মাত্র ২৮ বলে।
তার দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটির সময় পাশের মাঠে খেলার অপেক্ষায় থাকা কলাবাগানের মেহরাব জুনিয়র, আশরাফুল, তুষার ইমরানরা হাজির; সঙ্গী রূপগঞ্জের নাঈম ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, মোশাররফ, শরীফরা। মুমিনুল যতক্ষণ ব্যাট করলেন, সীমানার বাইরে থেকে হাততালি আর চিৎকারে উৎসাহ যুগিয়ে গেলেন এই তারকা ক্রিকেটাররা। মাঠ ভেজা থাকায় কলাবাগান-রূপগঞ্জের ম্যাচটি দেরিতে শুরু হওয়ায় এই দৃশ্যের অবতারণার সুযোগ হয়।
দোলেশ্বরের হয়ে ফরহাদ রেজা ৪১ রানে ৪টি, দেলোয়ার হোসেন ৩৯ রানে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
পরে জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনীতে ইমতিয়াজ হোসেনের ৪২, শাহরিয়ার নাফিসের ৩৬, মিডল অর্ডারে সামিউল্লাহ সেনওয়ারির ৫৫, আর জাকের আলির ৫২ রানের পরও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে যেতে পারেনি দোলেশ্বর।
শেষ দিকে এনামুল জুনিয়রের ৩০ ও আরাফাত সানির অপরাজিত ২৯ রানে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে দোলেশ্বর।
গাজী ক্রিকেটার্সের হয়ে বল হাতেও সফল নাসির। দলটির অধিনায়ক ১০ ওভারে ৪০ রান খরচায় নিয়েছেন ৩টি উইকেট। শফিউল ইসলামের ২টি; আবু হায়দার, পারভেজ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।