সাউদাম্পটনে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিনে ইংল্যান্ড পেস অ্যাটাকের সামনে করুণ দশা ছিল পাকিস্তানের। জেমস অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, স্যাম কারেন এবং ক্রিস ওকসদের আক্রমণের মুখে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানে দিন শেষ করে আজহার আলির দল।
ইংলিশ পেসাররা এদিন দারুণ খেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া ব্রড মাত্র ১ উইকেট নিয়ে ১৩ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৩১। বোলিংয়ের জন্য নয়, ব্রড এদিন শিরোনাম হয়েছেন ভিন্ন এক কারণে, মাঠের মধ্যে তাকে ইনহেলার নিতে দেখায় জেগেছে কৌতূহল!
মাঠে খেলোয়াড়দের ইনহেলার নেয়ার ঘটনা বা অ্যাজমা সমস্যা বেশ বিরল ঘটনাই। সাধারণ মানুষের তুলনায় পরিশ্রম বেশি হওয়ায় সাধারণত অ্যাজমা রোগীরা খুব বেশি দৌড়াদৌড়ি করতে পারেন না। সেখানে তীব্র শারীরিক আর মানসিক পরিশ্রমের খেলা ক্রিকেটে একজন হাঁপানি রোগীর পেস বোলার হয়ে ক্যারিয়ারের দীর্ঘ পথ চলাটা বেশ অবাক করার মতো।
অবশ্য ব্রডের যে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আছে সেটা ২০১৫ সালেই সতীর্থদের, এমনকি সবাইকেই জানিয়েছেন তিনি। সেবছর ডেইলি মেইলে লেখা এক কলামে কেনো তার অ্যাজমা সেটাও পরিষ্কার করেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী পেসার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার আগে তার সতীর্থরা নাকি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি।
‘এক রাতে আমরা নিজেদের অজানা কথাগুলো একে অন্যকে বলছিলাম। আমি সবাইকে চমকে দিয়েছিলাম এই বলে যে, ছোটবেলা থেকেই আমার ফুসফুস ছিল দেড়টা! কারণ আমার জন্ম হয়েছিল খুব অপরিণত বয়সে এবং নির্ধারিত সময়ের আগে। এ কারণে আমার একটি ফুসফুস সঠিকভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়নি।’
‘ঠিক এই কারণে আমার শ্বাসকষ্ট সমস্যা আছে এবং সবসময় ইনহেলার সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হয়। তবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে এটি নিয়ে কোনো সমস্যায় ভুগতে হয়নি। পুরো ক্যারিয়ারে অর্ধেক ফুসফুস কম নিয়ে খেলতে পারাটা যদিও অনেকের কাছে অবাক করার মতোই।’