মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব নেতাদের নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। আড়াই ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে নোয়াব নেতারা কথা না বললেও কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
বাস্তবতা যাই হোক, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বেতন কাঠামোর দরকার নেই বলে জানিয়ে দেন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সরকারি চাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি বেতন পান। এ বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অর্থমন্ত্রীর ওই বক্তব্য শ্রুতিকটু তাঁর উপস্থাপনা ভঙ্গির কারণে বলে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক কবির য়াহমদ।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ওয়েজবোর্ড সংবাদপত্রের জন্যে। সংবাদপত্রগুলো বিনা শুল্কে কাগজ কেনে, ভুল প্রচার সংখ্যা দেখিয়ে সরকারি বিজ্ঞাপন নেয়, বিনা শুল্কে কেনা কাগজ বাইরে বিক্রি করে দেয়। আর ওদিকে অধিকাংশ সাংবাদিককে সময়মত প্রতিশ্রুত বেতন দেয় না। ব্যতিক্রম সামান্যই, সংখ্যায় হয়ত ৪-৫!
টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্যে আলাদা কোনো নীতিমালা নাই। বেতন কাঠামো নাই। সরকারি বিজ্ঞাপন নাই বললেই চলে।
অনলাইন গণমাধ্যমের জন্যে সরকারি নিবন্ধনের প্রক্রিয়া দুই বছর ধরে চলমান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে নি। সরকারি বিজ্ঞাপন নাই, নাই সরকার প্রদত্ত কোন সুবিধা।
মুদ্রিত সংবাদপত্র সারাবিশ্বে অস্তিত্ব সংকটে। অথচ সরকার এ মৃতপ্রায় শিল্পকে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। বিপরিতক্ষেত্রে ক্রম-প্রসারমান অনলাইন গণমাধ্যম নিয়ে সরকারের কোন মাথাব্যথা নাই।
এ সরকার ডিজিটাল সরকার, অথচ দেয় সকল সুবিধা অ্যানালগ মাধ্যমে।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যগুলো শ্রুতিকটু তাঁর উপস্থাপনা ভঙ্গির কারণে। একই কথা ঠাণ্ডা মাথায় পরিশীলিত ভাষায় বললে এত রূঢ় শোনাত না, আর ভুল মেসেজ যেত না বলেই ধারণা।’