রপ্তানি করে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর সেই চিরাচরিত পন্থা এখন আর কাজে আসছে না। রপ্তানিমুখি এশিয় দেশগুলোকেও শিকার হতে হচ্ছে পশ্চিমা বাজারের অর্থনৈতিক মন্দার। এমন পরিস্থিতিতে স্থবির বাণিজ্যের গতি ফেরার অপেক্ষায় থাকার পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলোর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে বলে মনেকরেন জানিয়েছেন এইচএসবিসি’র অর্থনীতিবিদ ফ্রেড নিউম্যান।
গত কয়েক দশকে এশিয়া থেকে পশ্চিমা আমদানি ভালোই ছিলো। তবে এখন পশ্চিমের ক্রেতাদেশগুলোতে বাজার আর আগের মতো নেই। এ প্রসঙ্গে মার্কিন ক্রেতাদের কৃচ্ছতার নীতির উদাহরণ টেনেছেন নিউম্যান।
তিনি জানিয়েছেন আগের ২০০০ সালের তুলনায় এখন মার্কিন ক্রেতারা অনেক বেশি মিতব্যয়ী।
এমন পরিস্থিতিতেও চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ার রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই প্রবৃদ্ধিকে প্রচলিত রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বলে মনে করেন না নিউম্যান।
তার মতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সনাতন রপ্তানিতে নয় বরং প্রবৃদ্ধি আসছে প্রযুক্তিখাত এবং তেল বাণিজ্যেও বিনিয়োগ থেকে।
নিউম্যানের সাথে একমত পোষণ করেছেন থাইল্যান্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কিত্তিস্রীকাংয়ান।
তিনি মনেকরেন, মন্দার পর উন্নত দেশগুলোর জোড়াতালি দেওয়া অর্থনীতি আর আগের মতো রপ্তানি সম্ভাবনা তৈরি করছে না।
এমন অবস্থায় ‘স্থানীয়’ অর্থাৎ এশিয়াতেই বাজার ধরার বিষয়টি গুরত্ব পাচ্ছে এখন।
রপ্তানিকারকদের কৌশলগত পরিবর্তন আনা উচিৎ বলে মনে করেন সাউথ কোরিয়ার অর্থমন্ত্রী চোই কুয়াং-হন।
চীনের কোম্পানি নয়, বরং বিশাল বাজার ধরতে এশিয় রপ্তানিকারদের দৃষ্টি দেয়ার কথা বলেছেন কোরিয় অর্থমন্ত্রী।