প্রায় দুই বছর পর নির্বাসন থেকে ফেরা বাংলাদেশ দুর্দান্ত পরফর্ম করেছে লাওসের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে। দুবার পিছিয়ে পড়েও দারুণ দুই গোলে ড্র করা ম্যাচের পর কোচ অ্যান্ড্রু অর্ডকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু অর্ড-বাফুফের সম্পর্কটা আর সামনে এগোলো না।
বাংলাদেশের ফুটবলকে কক্ষপথে ফেরাতে যার উপর ভরসা করে ছিল বাফুফে, সেই অর্ডই হঠাৎ জানিয়ে দিলেন- মামুনুলদের কোচ থাকছেন না তিনি। আবারও তাই নতুন কোচের সন্ধানে নামতে হচ্ছে বাফুফেকে।
গত ২৭ মার্চ লাওস ম্যাচের পর ছুটিতে যান অর্ড। ছুটি থেকে ফেরার কথা ছিল ৪ এপ্রিল, বুধবারই। কিন্তু ফেরেননি। উল্টো গত ১ এপ্রিল পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বাফুফের কাছে মৌখিকভাবে অব্যাহতি চেয়েছেন বলে জানা গেল তার ফেরার দিনটিতেই। ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এ অস্ট্রেলীয় কোচ যে ফিরছেন না আর এবং জোর করছে না বাফুফেও, সেটি নিশ্চিত করেছে ফেডারেশন।
‘অর্ডের চুক্তি ছিল জুন মাস পর্যন্ত। চাইলে তাকে আমরা বাধ্য করতে পারতাম। কিন্তু হাতে সময় থাকায় ফেডারেশন থেকেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাকে ছেড়ে দেয়ার।’ -বুধবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
অর্ড একাই নন, তার সঙ্গে দায়িত্ব ছাড়ছেন তিন মাসের চুক্তিতে আসা গোলরক্ষক কোচ জেসন ব্রাউনও। বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়ে থাইল্যান্ডের ক্লাব এয়ারফোর্স সেন্ট্রাল এফসির দায়িত্ব নিয়েছেন অর্ড। বুধবার ক্লাবটির ফেসবুক পেজেও দেখা যাচ্ছে অর্ডের প্রোফাইল।
টম সেইন্টফিটের বিদায়ের পর ঠিক এক বছর আগে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেন অর্ড। দায়িত্বের বেশিরভাগ সময় অলস সময় কাটালেও নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে প্রায় সফল তিনি। তাই অর্ডের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। তার আগে নিজ থেকেই বিদায় নিলেন এ অস্ট্রেলীয় কোচ।
আগামী সেপ্টেম্বরে সাফ টুর্নামেন্ট। তার আগেই নতুন কোচ নিয়োগ দিতে চায় বাফুফে। তাই আর অর্ডের পেছনে সময় নষ্ট করতে ইচ্ছুক নন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটির কর্তারা। এরইমধ্যে ১০-১২জন আগ্রহী কোচের জীবন বৃত্তান্তও হাতে পেয়েছে ফেডারেশন। ১০ এপ্রিল বাফুফের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সেই তালিকা থেকে নতুন কোচের সাক্ষাতকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানালেন আবু নাঈম সোহাগ।