তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ঘোষণা দিয়েছেন, অভ্যুত্থানের
বিরুদ্ধে তিনি জয়ী হবেনই। কেননা জাতীয় স্বার্থের ওপর কোনো শক্তি নেই।
অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করে এরদোগান বলেন, ‘আমি আমার
জনগণের সঙ্গেই আছি। আমি কোথাও যাচ্ছি না।’
এ ঘটনাকে তিনি ‘রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করে তার সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন। রাস্তায় নেমে অনেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
অবকাশ যাপনের জন্য রাজধানীর বাইরে ছিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। সেনাবাহিনীর এক অংশ দেশের ক্ষমতা দখলের চেষ্টার ঘটনায় রাজধানী ইস্তাম্বুলে ছুটে যান তিনি। সেখানেই বিমানবন্দরে ঘিরে থাকা সমর্থকদের মাঝে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট। তার বক্তব্য গণমাধ্যমগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়েছেন। তুরস্কের অভ্যুত্থান মোকাবেলায় সাহায্যের প্রস্তাবও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, সরকারই আঙ্কারা এবং ইস্তাম্বুলকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করেছে। এতে সেনাবাহিনীর একাংশের কোন কৃতিত্ব নেই। বিদ্রোহের ঘটনায় ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
অভ্যুত্থানে দু’জন সাধারণ নাগরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। পার্লামেন্ট ভবনেও ঘটেছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা।
এর আগে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দেশটির একটি টেলিভিশনে ঘোষণা দেয়া হয়। তবে পাল্টা এক ঘোষণায় নিয়ন্ত্রণ এখনো এরদোগান সরকারের হাতে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। রাজধানীর বাইরে থাকা অবস্থায় দেয়া বার্তায় তিনি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ওই ঘটনায় জড়িতরা যেই হোক তাদেরকে কঠোর মাসুল দিতে হবে।
সেনা বিদ্রোহের প্রথমদিকে প্রকাশিত এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দখল নিয়েছে সেনারা। অবশ্য তুরস্কের শীর্ষ গোয়েন্দারা এই অভ্যূত্থানকে অকার্যকর বলে মন্তব্য করেছেন।