চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘অভিষেকেই’ কামিন্সের তোপ, কুপোকাত ইংল্যান্ড

নেতৃত্বে ‘অভিষেক’, শুরুর ম্যাচে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন প্যাট কামিন্স। অজি পেসারের তোপের সামনে কুপোকাত ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংলিশরা গুটিয়ে গেছে দেড়শর আগেই।

বুধবার ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ৫০.১ ওভারে কেবল ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় জো রুটের দল। বৃষ্টি, ভেজা মাঠ ও আলোকস্বল্পতার কারণে পরে আর ব্যাটে নামা হয়নি স্বাগতিকদের।

করোনাকালীন সময়ের প্রথম অ্যাশেজ নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা আছে। ঘরের মাঠে গত অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে ৪-০তে বিধ্বস্ত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার পণ করে এসেছে ইংল্যান্ড। যার শুরুর দিনটা কাটল ম্যাড়ম্যাড়ে!

অতিথিদের দুঃস্বপ্নের শুরু মিচেল স্টার্কের হাতে। ররি বার্নসকে শূন্য রানে বোল্ড করে স্বাগতিক পেসার। স্টার্ক শুরুতেই জানিয়ে দেন, ছাইভস্ম টেমস নদীর পাড়ে নেয়া এত সহজ হবে না!

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দৃশ্যপটে হ্যাজেলউড। অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে তিনি জমা করান ৬ রান থাকা ডেভিড মালানকে। পরের ওভারে অধিনায়ক রুটকে শূন্য রানে ফেরান ওয়ার্নারের ক্যাচ বানিয়ে।

সেই বিপর্যয় ইংল্যান্ড আর সামাল দিতে পারেনি। স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফেরা বেন স্টোকস (৫) লাবুশেনের হাতে ধরা পড়েন কামিন্সের প্রথম শিকার হয়ে।

পরে কামিন্সের সামনে সফরকারী ব্যাটাররা রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়ে। ৭৫ বলে ৩ চারে ২৫ করা ওপেনার হাসিব হামিদ স্মিথের তালুবন্দি হন কামিন্সের বলে।

ষষ্ঠ উইকেটে অলি পোপ ও জস বাটলার ৫২ রানের জুটি গড়ে খানিক প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। বাটলার ৫ চারে যখন ৩৯ রানে, স্টার্ক তাকে ক্যারির গ্লাভসবন্দি করেন।

ইংল্যান্ডের শেষটুকু তাসের ঘরের মতো ভেঙে দেন কামিন্স। ৩৫ রান যোগ করতে শেষ ৫ উইকেট হারায় অতিথিরা। ৩৫ রান করা পোপও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন, এবার বোলার ক্যামেরন গ্রিন।

ক্রিস ওকস ২১ রানের ইনিংস খেলেছেন। যাতে ভর করে দেড়শর কাছে যায় ইংল্যান্ড। ওকস, ওলি রবিনসন, মার্ক উডের উইকেট তুলে ৫ উইকেট ঝুলিতে জমান কামিন্স। ৩৮ রানে ৫ উইকেট।

স্টার্ক ও হ্যাজেলউড ২টি, ক্যামেরন গ্রিন একটি উইকেট নেন।

অ্যাশেজে টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকেই পাঁচ উইকেট, এই কীর্তি গড়া প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হলেন কামিন্স। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ড পেসার বব উইলস এমন নজির গড়েছিলেন।