চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্ট বা অভিশংসন ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

তবে শেষ পর্যন্ত রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটের ভোটে ট্রাম্পকে অফিস ছাড়তে হবে না বলেই অনুমান বিশ্লেষকদের। তবে ডোমোক্র্যাটদের মতে, ট্রাম্পকে পদচ্যুত করার চেয়ে জনমত পরিবর্তন ও নৈতিক প্রশ্ন তোলাই লক্ষ্য।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন। জো বাইডেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বিচারসংক্রান্ত কমিটিতে ৩ সপ্তাহের অভিশংসন শুনানি হয়। এরপর ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬৫৮ পাতার প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

মার্কিন কংগ্রেসের নিন্মকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হতে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ২১৮টি ভোট প্রয়োজন। প্রতিনিধি পরিষদে ২৩৩টি আসন বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটদের দখলে রয়েছে।

তবে বাধ সাধবে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট। ১০০ সদস্যের সিনেটে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে অপসারণে দুই তৃতীয়াংশ বা ৬৭ ভোট লাগবে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে আছে ৪৭টি ভোট। এর আগে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন হলেও সিনেটের কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন এবং বিল ক্লিনটনকে অফিস ছাড়তে হয়নি।

অভিশংসন ভোট নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে ৬ পাতার চিঠি লিখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পকে অপসারণ সম্ভব না হলেও এই অভিশংসন প্রক্রিয়া ২০২০ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।