আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসর ঘোষণা করলেন আম্বাতি রায়ডু। বিশ্বকাপ দলে ঠাঁই না পাওয়ার জেরেই অভিমানে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন ভারতীয় এই ক্রিকেটার। নিজের সিদ্ধান্তের কথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআইকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়ার ধাক্কাটা সামলাতে পারলেন না। বিশ্বকাপের মাঝেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন রায়ডু। ভারতীয় দল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পরদিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সার্কিট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন এই ডানহাতি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
এবারের বিশ্বকাপ দলে ঠাই হয়নি রাইডুর। তার বদলে বিশ্বকাপের জন্য বিজয় শঙ্করকে দলে নেন ভারতীয় নির্বাচকরা। এর কারণ হিসেবে নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ বলেছিলেন, ‘রায়ডুকে আমরা বেশ কিছু সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু বিজয় ব্যাট, বল ফিল্ডিং সবই করতে পারে। ও থ্রি ডাইমেনশনাল ক্রিকেটার।’
নির্বাচক প্রধানের এই কথাকে কটাক্ষ করে রায়ডু টুইটারে লেখেন, ‘বিশ্বকাপ দেখব বলে এই মাত্র থ্রিডি চশমা অর্ডার দিলাম।’
এরপর অবশ্য বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেননি বিজয় শঙ্কর। আবার মাঝপথে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। বিজয়ের জায়গায় দলে নেয়া হয়েছে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে।
রাইডুর আশা ছিল বিজয় ছিটকে যাওয়ায় এবার অন্তত সুযোগ মিলবে। কিন্তু তা না হওয়ায় স্বভাবতই হতাশ। শেষমেশ তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
দলে সুযোগ না পেলেও বিসিসিআই পরে স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম রেখেছিল রায়ডুর। তখন ঠিক হয়, বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনো ক্রিকেটার চোট পেলে ‘স্ট্যান্ড বাই’রা সুযোগ পেতে পারেন। শেখর ধাওয়ান চোট পাওয়ার পর অবশ্য রায়ডুর নাম ভাবা হয়নি। সুযোগ দেয়া হয় রিশভ পান্টকে। এরপর বিজয় শঙ্কর চোট পাওয়ার পরও ভাবা হয়নি রায়ডুর নাম।
দেশের হয়ে মোট ৫৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন রায়ডু। প্রায় ৪৭ রানের গড়সহ তার মোট ১৬৯৪ রান। এর মধ্যে ৩টি শতরান এবং ১০টি অর্ধশতরানের ইনিংস রয়েছে। এছাড়াও ভারতের হয়ে ৬টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
এর মধ্যেই আবার নতুন খবর, আইসল্যান্ড ক্রিকেট থেকে সেদেশের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে রায়ডুকে। মঙ্গলবারই অবশ্য রায়ডুকে আইসল্যান্ডের নাগরিকত্ব দেয়ার খবর বের হয়।