অভিবাসী সঙ্কট মোকাবেলায় অভিন্ন অবস্থান খুঁজে বের করতে আবারো জরুরি বৈঠকে বসেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং বলকান দেশগুলোর নেতারা। প্রচণ্ড শীতে অভিবাসীদের কষ্টের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
নতুন করে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত ঠেকাতে ব্রাসেলসে জরুরি বৈঠকে বসেছেন ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং বলকান দেশগুলোর নেতারা। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে চুক্তি ছাড়াই একটি খসড়া বিবৃতির মাধ্যমে শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে আহবান জানানো হয়।
ইইউভূক্ত দশটি দেশ এবং ইইউ বহির্ভূত তিনটি দেশ আলোচনায় বসলেও বৈঠকে অংশ নেয়নি তুরস্ক। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন তুরস্কের সাহায্য ছাড়া অভিবাসন সংকট সমাধান করা যাবে না। এর আগে অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোত ঠেকাতে ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশগুলো তাদের বাফার জোন এড়াতে নিজ নিজ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। বুলগেরিয়া জানিয়েছে, জার্মানি ও অস্ট্রিয়া যদি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে, সার্বিয়া, রোমানিয়ার সাথে তারাও সীমান্ত বন্ধ করবে।
ইতোমধ্যে জার্মানিসহ ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশে পৌঁছানোর জন্য অভিবাসন প্রত্যাশীরা স্লোভেনিয়া হয়ে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া যেতে শুর করেছে। চলতি সপ্তাহে ৫৮ হাজার শরণার্থী স্লোভেনিয়া পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার অভিবাসী মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে ইউরোপে প্রবেশ করেছে।
ওদিকে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৪০ জন শরণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধারকৃতদের অধিকাংশই আফগান শরণার্থী। এছাড়া নিখোাঁজ রয়েছে আরও ৩০ জন।