তুরস্কের সাথে আলোচনার পরও অভিবাসী সঙ্কটে কোনো যৌথ উদ্যোগ চূড়ান্ত করতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে তুরস্ককে ইইউ সদস্যপদ দেয়ার আলোচনা আবারও শুরুর বিষয়ে একমত সব সদস্য দেশ।
অভিবাসীদের ঠেকাতে ক্রোয়েশিয়ার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে হাঙ্গেরি।
২০ লাখেরও বেশি অভিবাসীর ঠাঁই তুরস্কে। ইউরোপে পাড়ি জমানো ৬ লাখেরও বেশি অভিবাসী তুরস্ক দিয়েই এসেছে। তাই অভিবাসী সমস্যার সমাধানে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর তুরস্কের আলোচনা।
শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি ব্রাসেলস আলোচনা। তুরস্কের জলসীমায় ইউরোপীয় বাহিনীর যৌথ টহল বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসেনি। আর তুরস্কের ৩ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তার অনুরোধও শুধু বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
আলোচনার ব্যর্থতায় অনেকাংশে দায়ী গ্রিস, সাইপ্রাস ও ফ্রান্সের সাবধানী নীতি। তবে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের দাবি, কিছুই অর্জন হয়নি তা বলা যাবে না।
সীমান্তে এক বুলগেরিয়ান সেনা আফগান অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে- এমন সংবাদ পেয়ে আলোচনা ছেড়ে চলে যান বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ।
অর্থ সহায়তার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থানেরও সমালোচনা করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আলোচনা এগোতে কয়েকদিনের মধ্যেই তুরস্কে যাবেন জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল।
অভিবাসীদের থেকে আবারও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে হাঙ্গেরি। সার্বিয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার সাথেও সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি।
হাঙ্গেরিমুখী অভিবাসীরা পথ পরিবর্তন করে আসতে পারে – এমন আশঙ্কায় সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে স্লোভেনিয়া।