আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম অভিবাসীদের জন্য আয়োজন করছে একটি ভার্চুয়াল কনসার্টের, যার নাম ‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’।
বর্তমানে প্রায় ৮০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী বিদেশে অবস্থান করছেন। পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকেই যেন তারা এই আয়োজনে যুক্ত হতে পারেন এবং উপভোগ করতে পারেন সেজন্যই ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই কনসার্টের আয়োজন করেছে আইওএম।
এই কনসার্টে অংশগ্রহণ করছেন জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পীরা- ফকির শাহাবুদ্দীন, ফাহমিদা নবী, এস আই টুটুল, সানিয়া সুলতানা লিজা, মিজান মাহমুদ রাজিব, জেফার রহমান, সাহস মোস্তাফিজ এবং কোরিয়ায় বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী নওশাদ ফেরদৌস। উপস্থাপনা করবেন ওয়ারফেজ ব্যান্ড-এর লিড ভোকালিস্ট পলাশ নূর।
এই আয়োজনে শিল্পীরা পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় কিছু ফোক এবং আধুনিক গান। পাশাপাশি এই আয়োজনের মাধ্যমে নিরাপদ, বিধিসম্মত এবং নিয়মিত অভিবাসন ও টেকসই পুনরেকত্রীকরণ নিশ্চিতে তথ্য নির্ভর অভিবাসন সম্পর্কিত বার্তা তুলে ধরবেন।
কোভিড-১৯ আমাদের জীবনযাত্রা, কাজ এবং ভ্রমণ ও চলাচলে প্রভাব ফেলেছে। আর এ বছরের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘রিইমাজেনিং হিউমান মোবিলিটি’। আমাদের জীবনে কোভিড-১৯ এর প্রভাব বিবেচনা করতে এবং কিভাবে এই সংকট কাটিয়ে উঠে আমরা একত্রে সামনে এগিয়ে যেতে পারি ও পুনরায় শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াতে পারি- তা বিবেচনা করতে দর্শক ও শ্রোতাদের আহ্বান জানাবেন এই সংগীতশিল্পীরা।
কনসার্টটি আয়োজন করা হয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে প্রত্যাশা প্রকল্পের আওতায়। পরিকল্পিত ও সুপরিচালিত নীতিমালার মাধ্যমে নিরাপদ, বিধিসম্মপ্ত এবং এবং দায়িত্বশীল অভিবাসন নিশ্চিতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১০.৭ অর্জনে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে প্রকল্পটি।
‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’-এ অংশগ্রহণ করতে যাওয়া তারকারা নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেন, “বিদেশে যাওয়ার নানা পথ থাকতে পারে। তবে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে জেনে, শুনে ও বুঝে বিদেশ যাওয়া উচিত।”
এস আই টুটুল বলেন, “অভিবাসীরা দেশকে খুব গভীরভাবে অনুভব করেন। নিজে কষ্ট করে প্রবাসে অর্থ উপার্জন করে দেশে তাদের পরিবারে টাকা পাঠান যেন দেশ ও পরিবার ভালো থাকতে পারে। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা কমিউনিটিতে তাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাই।”
দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশি গায়ক নওশাদ ফেরদৌস সে দেশে বাংলা এবং কোরিয়ান উভয় ভাষাতেই গান করেন। তিনি বলেন, কোন দেশে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা উচিত।
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, “২০২০ সালে সবাই কঠিন সময় পাড় করেছি, বিশেষ করে অভিবাসী ও তাদের কমিউনিটিরা। আমরা অভিবাসীদের অবদানকে উদযাপন করতে চাই এবং একই সাথে নিরাপদ, বিধিসম্মত এবং নিয়মিত অভিবাসনের গুরুত্ব সম্পর্কিত আলোচনায় শ্রোতাদের যুক্ত করতে চাই। আমি সবাইকে এই আয়োজন উপভোগ করার আহ্বান জানাই যেখানে থাকছেন দেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পীরা।”
যমুনা টেলিভিশনকে সাথে নিয়ে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’ সম্প্রচারিত হবে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় আইওএম বাংলাদেশ-এর ফেসবুক পেইজ (https://www.facebook.com/IOMBangladesh) এবং যমুনা টেলিভিশনের পর্দায়। ইভেন্ট পেইজ বিস্তারিত: https://www.facebook.com/events/142320114065810