অভিবাসন সংকট মোকাবেলায় নতুন করে এক লাখ ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে পারেনি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ। কয়েকটি সদস্য দেশের বিরোধিতার কারণে বাধ্যতামূলক কোটার ব্যাপারে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি ইইউ।
অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে এবং চলমান সংকট মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে গোটা ইউরোপ। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার জরুরি বৈঠক বসেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
দীর্ঘ সময় আলোচনার পর এক লাখ ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে ব্যর্থ হয়েছে ইইউ এর ২৮টি সদস্য দেশ।
ব্রাসেলসে বৈঠকের পর ইইউ এর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, তা আগামী ৮ অক্টোবর লুক্সেমবার্গে অনুষ্ঠেয় ইইউ এর প্রেসিডেন্সি সভায় উত্থাপন করা হবে।
ওদিকে ইউরোপের অভিবাসন সংকট মোকাবেলা এবং অভিবাসন প্রত্যাশীদের চাপ ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর অনেকেই সীমান্তে আরো কড়াকড়ি আরোপের কথা বলেছে।
এরইমধ্যে জার্মানির পর এবার অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া ও নেদারল্যান্ডসও সীমান্তে আরো কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রিয়া।
সোমবার হাঙ্গেরি সার্বিয়ার সঙ্গে ১৩ ফুট উচ্চতার ১৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করেছে। স্লোভাকিয়াও অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ওদিকে অভিবাসন প্রত্যাশীরা জার্মানি ও পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশে আশ্রয় লাভের আশায় গ্রিস থেকে মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া হয়ে হাঙ্গেরি ও অস্ট্রিয়া সীমান্তে জড়ো হয়েছে ।