বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উপকূলের কাছে সাগরে নৌকায় ভাসছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রায় আট হাজার অভিবাসী। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ায় অভিবাসীদের নৌযানে রেখেই মানবপাচারকারীরা পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বলছে, থাইল্যান্ডে ক্যাম্প ও গণকবর আবিষ্কারের পর পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। অভিযান শুরুর পর পাচারকারীরা অভিবাসীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার পরিবর্তে নৌযানে রেখেই পালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে বলে বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
মালয়েশিয়ার ল্যাঙ্কাওই এবং ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূল থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গার সংখ্যা এরই মধ্যে ২ হাজার ছাড়িয়েছে।
সোমবার মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূলে মানবপাচারকারীদের চারটি নৌযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ হাজার ৪’শ ১৮ জন বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অবৈধ অভিবাসীকে। এর আগে রবিবার ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূলে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৬শ বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসীকে।
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ্ প্রদেশের লকসুকন শহরের একটি জিমনেসিয়ামে এনে রাখা হয়েছে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের। সেখানে তাদের খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রের মাঝপথে নৌকা থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ অভিবাসীদের বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে সেখানকার মানবপাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয় থাইল্যান্ডের পুলিশ এবং সরকারি কর্মকর্তারা। যদিও পাচার হওয়া মানুষদের নিয়ে ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন থাই সেনা প্রধান উদোমেদজ সিতাবাত্রা।
মানবপাচার বন্ধে একসঙ্গে কাজ করতে আগামী শুক্রবার আলোচনায় বসছেন থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার পুলিশ কর্মকর্তারা।