জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভূমধ্যসাগরে ভেসে থাকা অভিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সরকারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে নৌকাগুলোকে পুনরায় সমুদ্রে ফেরত পাঠানোর নীতির ব্যাপারেও দেশগুলোকে সতর্ক করেন তিনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার জেইড রাদ আল হুসেইন এক বিবৃতিতে বলেন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার বিপদগ্রস্থ অভিবাসী ভরা একটি নৌকাকে পুনরায় সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয়ার ফলে উপেক্ষাযোগ্য মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে। আমাদের দৃষ্টি থাকা উচিত জীবন বাঁচানোর দিকে, জীবনকে আরো ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিতে নয়।
১০ মে ৫৮২ জন অভিবাসী ভরা একটি নৌকাকে ইন্দোনেশিয়ার বর্ডারে ভিড়তে দেয়ারও প্রশংসা করেন জেইড। পরের দিনই মালয়েশিয়া ১০১৮ জনকে গ্রহণ করে। বিবৃতিতে জেইদ বলেন, অমানবিকভাবে অভিবাসীদের আবার সমুদ্রে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জীবনকে আরো ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছিলো। তারা কিভাবে এসেছে, কোথা থেকে এসেছে সেসব বিষয় আলাদা করে রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসব বিপদগ্রস্থ মানুষদের ক্রিমিনাল আখ্যা দিয়ে শিশুসহ তাদের আটক করে রাখাটাও কোনো সমাধান নয় বলে জানান তিনি।
অভিবাসী নয় বরং মানবপাচারকারীদের ব্যাপারেই আরো কঠোর হবার আহবান জেইদের। বলেন, আমি সবাইকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং উদ্বাস্তু আইন মেনে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানানোর আহবান করবো। খুবই জটিল এবং বহুমুখী এই সমস্যার একটা সুন্দর সমাধানে আসার দরকার সবাই মিলে।
অভিবাসী দলগুলোর মধ্যে থাকা শিশুদের নিয়েও কথা বলা হয় বিবৃতিতে, শিশুদের ক্রিমিনাল হিসেবে না দেখে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খাবারের দিকে নজর দিতে হবে।
অভিবাসী সমস্যার কারণ হিসেবে এসব শিশুকে আটক না রাখার কথাও বলা হয় বিবৃতিতে।
মানবিক দিক বিবেচনা করে সাময়িকভাবে হলেও থাইল্যান্ডে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি টেলিফোনে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেনারেল তানাসাক পতিমাপ্রাগনকে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আবারও সাগরে ফেরত না পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন।
সমস্যার দ্রুত সমাধানে ২৯ মে থাই প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠক বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার।